ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেভ করা হয়। ওই সময়ও বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ডিবির গাড়িতে করে গয়েশ্বরের বাসায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তবে মুক্ত হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির কর্মসূচির স্থান ছিল পুরান ঢাকার নয়া বাজার, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী এবং আবদুল্লাহপুর। তবে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধার মুখে কোথাও অবস্থান নিতে পারেনি দলটির নেতা-কর্মীরা। পরে তারা ধোলাইখাল এলাকায় অবস্থান নেন।
ওই সময় গয়েশ্বর রায়ের নেতৃত্বে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ লাঠি চালালে বেঁধে যায় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১১টায় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন গলি থেকে জাতীয় পতাকা হাতে বেরিয়ে আসেন এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। গয়েশ্বর রায়ের পাশাপাশি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ সেখানে ছিলেন।
এ সময়ে জনসন রোড থেকে আর্মর্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও প্রিজন ভ্যান নিয়ে পুলিশ ধোলাইখালের দিতে এগোতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপিকর্মীরা ইট ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোড়ে। আধা ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার মধ্যে গয়েশ্বর রায়কে ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদও লাঠিপেটার শিকার হন। একজন যুবদলকর্মীকে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। আহত গয়েশ্বর ধোলাইখালে একটি দোকানের ভেতরে নেতা-কর্মীদের বেষ্টনিতে ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশের একটি দল এসে গাড়িতে তুলে গয়েশ্বরকে নিয়ে যায়।
সেখানে পুলিশের কয়েকজন সদস্যের মাথা ফেটেছে জানিয়ে ডিএমপির লালবাগ জোনের উপকমিশনার জাফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply