1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
উপজেলা নির্বাচন/ জনপ্রতিনিধি নয়, জনসেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চাই- রাজিব ব্র্যাকের সহযোগীতায় নিরাপদে বিদেশ যাচ্ছে মানুষ , ফেরতরা পাচ্ছেন সহায়তা বাকেরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রাজিব তালুকদারকে চায় উপজেলাবাসী বরিশাল ডিসি ঘাট দখলে মরিয়া চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবো- চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর পরিবারের উদ্যোগে প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মানবিক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের উদ্যোগ, সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার বিতরণ হিজলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর মৎস্য অধিদপ্তরের অতর্কিত হামলা

রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১১ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক // কক্সবাজার রামু উপজেলা চাকমারকুল ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার বাসিন্দা মৃত সুলতান আহমদের পুত্র সিরাজুল ইসলাম,সেই ডাকাতি মামলা ও হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি।বর্তমানে সে প্রতিনিয়ত ভূমিদস্যুতা করেই যাচ্ছে। সেই রামুতে কিছু কথিত রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় অনেক নিরীহ মানুষকে নির্যাতন করে যাচ্ছে। সেই রামুতে ভূমিদস্য সিরাজ নামে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। তার বিষয় নিয়ে এলাকায় অনেকেই মুখ খুলতে পারে না। তার রয়েছে একাধিক নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী ও অস্ত্রধারী লোক। সম্প্রতি গত রমজান মাসে তেচ্ছিপুল এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, তিনি গেল দুই মাস আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। তার মৃত্যুকে পুঁজি করে ভূমিদস্য সিরাজ তার দীর্ঘ ৩০ বছরের জায়গাটি দখল করে একটি বাসা নির্মাণ করে রেখেছে। সেই ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণেই আজ ৩০ বছরের খতিয়া ভুক্ত জায়গাটি দখল করার সুযোগ পেয়েছে। এ বিষয় নিয়ে নিহত পরিবারের সন্তান ফয়সাল আমীন রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই বাহাদুর দুজন মিলে ওই ফয়সালের বাবার জায়গাটি দখল করে রেখেছে। যেহেতু ফয়সালের বাবা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। এতে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানা ও কক্সবাজার আদালতের দারস্ত হয়েছে। তবে ১৯৯৩ সালে তার বাবা এই জায়গাটি সাহাব মিয়া গং এর কাছ থেকে ১৩১০ মাদার খতিয়ান নং থেকে ক্রয় করে নামজারি করা হয়েছিল ২২৭১ দাগে ভুলক্রমে কিন্তু ভোগদখীয় রয়েছে ২১১১ দাগে। তার বাবা উক্ত খতিয়ান থেকে বিএস মূলে ক্রয় করলেও তিনি ২২৭১ ও ২১১১ দাগে তার নিজ নামে খতিয়ানটি করা হয়। তবে তাদের দাবি এই জায়গাটি তারা ক্রয় করেছিল।

এই বিষয় নিয়ে নিহত নুরুল আমিনের ছেলে ফয়সাল আমিন জানান,আমার বাবা অন্য ১৯৯৩ সালে শাহাব মিয়া গংদের কাছ থেকে ফতেখাঁরকুল মৌজা সৃজিত বিএস ১৬৮২ নং খতিয়ানের ২২৭১ নং দাগের আন্দরে ০.১১৩৩ একর জমি জায়গাটি ক্রয় করেছিলেন, আমাদের এই জায়গাটি রামু বাইপাস রেল লাইনের অপজিটে। সাম্প্রতিক ২০১৮ সালে এই জায়গাটি রেলওয়ে ম্যাক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন। তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর এই জায়গাটি ভাড়া নিয়ে রেল লাইনের বিভিন্ন সরঞ্জাম রেখে কাজ করেছে। এতে আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে এই জায়গাটি আমাদেরকে রেললাইনের লোকেরা বুঝিয়ে দেয়। পরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম আমার বাবার জায়গাটি দখল করে রেখেছে। উক্ত জায়গাতে সেই একটি টিন দিয়ে বাসা নির্মাণ করেছে। এতে আমরা নিরুপায় হয়ে রামু থানায় গেল ২৮/০২/২৪ একটি অভিযোগ দায়ের করেছি তার বিরুদ্ধে।গেল কয়েকদিন আগে শুনলাম কক্সবাজার আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ০৬/০৩/২৪ ইং একটি ফৌজদারী মামলা করেছে। এ মামলাতে আমাদেরকে সাতজনকে অভিযুক্ত করে ১০-১৫ জন অজ্ঞাত রেখে আদালতে মামলাটি দায়ের করে।পরে আদালত উক্ত মামলাটি রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আমরা এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানান,ভূমিদস্য সিরাজ ও তার ভাই সন্ত্রাস বাহাদুর তারা দীর্ঘ বছর ধরে এই এলাকাতে সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি এবং ভূমিদস্যু করে যাচ্ছে। তাদের রয়েছে অটল সম্পদ ও বিপুল পরিমাণ টাকা। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি নই। গেল রমজান মাসে সে রামু কলেজের পেছনে একটি জায়গা দখল করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে গেলে সেই ওই এলাকার মানুষের কাছ থেকে দৌড়ানি খেয়ে চলে আসে। তাই ওইদিন জায়গাটি দখল করতে পারেনি।
এ নিয়ে শত শত ভুক্তভোগী আদালত সহ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ করেছে। তবুও থেকে নেই তার এসব অপকর্ম।তার দিন দিন ভূমিদস্য বেড়েই চলছে।

এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান,১৯৯৬ সালে সাড়ে ২৩ শতাংশ জায়গায় ক্রয় করেছিলেন নুরুল আমিন,তিনি বড় পুকুরের পাশে ৬ শতাংশ অন্য পাশে ৫ শতাংশ জায়গায় নামজারি করেন।আবার মৌলবী নামে এক ব্যক্তি ভিটা জায়গাতে ২ শতাংশ জায়গায় নামজারি করে আবার ২২৭১ দাগে কিছু অংশ নামজারি করে,তিনি আবার ২০০৮ সালে ১০ শতাংশ জায়গায় বিক্রি করে,শাহাব মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গায় ছিল সাড়ে ৩৭ শতাংশ,তার কাছ থেকে সিরাজ ক্রয় করেছিল ১৫ শতাংশ, তাকে দখল দিয়েছিল বড় পুকুরের পাশে ২২৪৪ দাগের মধ্যে,এর তার কাছ থেকে জানতে চাইলে ২২৭১ দাগটি কি নুরুল আমিনে জবাবে শিকার করেন।

এই বিষয় নিয়ে চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, সিরাজুল ইসলাম সেই তার এলাকার বাসিন্দা তবে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তিনি জানেন না,তবে সেই ভূমিদস্যুতায় জড়িত রয়েছে, এবং সেই একাধিক মামলার আসামি।

এই বিষয় নিয়ে চাকমারকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা
ভুক্তভোগী হারুন জানান,তাদের পৈত্রিক জায়গাতে মাটি ভরাট করতে গেলে ভূমিদস্যু সিরাজ ওখানে বাধা প্রদান করে।বাধা দেওয়ার পরে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ মেম্বারকে অবিহিত করলে সিরাজ ওই জায়গা থেকে পালিয়ে আসে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ