1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
ঝালকাঠিতে আন্ত:জেলা চোর চক্রের মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কারিগরি শিক্ষা সপ্তাহ পালিত জনসেবায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি- ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল উপজেলা নির্বাচন/ জনপ্রতিনিধি নয়, জনসেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চাই- রাজিব ব্র্যাকের সহযোগীতায় নিরাপদে বিদেশ যাচ্ছে মানুষ , ফেরতরা পাচ্ছেন সহায়তা বাকেরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রাজিব তালুকদারকে চায় উপজেলাবাসী বরিশাল ডিসি ঘাট দখলে মরিয়া চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবো- চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর

কমছে মরিচের দাম, সবজি ঊর্ধ্বমুখী

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৭ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক // বাজারে আমদানি বাড়ায় কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। কিন্তু অন্যান্য সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর, কালীগঞ্জ ও পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এছাড়া দেখা গেছে, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের পর এবার আলুর বাজারে অস্বস্তি। রাজধানীর খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আড়তদার ও কোল্ডস্টোরের মালিকরা এ জন্য দায়ী করছেন মজুতদারদের।

রাজধানীতে কয়েকটি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন পাইকারি দামই ৩৫-৩৭ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলে ৪০ টাকা পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির দেশের কাঁচা মরিচের বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে ওঠানামা করছে এর দাম। তবে এক দিনের ব্যবধানে মানভেদে কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। আর বৃহস্পতিবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়।

‘আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে আমদানি বন্ধ হলে বা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে আবারও বাড়বে দাম।’

কবির আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের কোনো সংকট নেই। মরিচ ঠিকই আছে। কিন্তু সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।

অন্যদিকে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী অন্যান্য সবজির বাজার। বাজারে প্রতিকেজি পটোল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুমুখী ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে করলা ও টমেটোর। প্রতিকেজি করলা ১৫০ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তা ছাড়া ঈদের ছুটির পর এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি সরবরাহব্যবস্থা। এতে দাম কিছুটা চড়া।

এদিকে ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও শাকসবজির দাম চড়া, যা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শিগগিরই এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, চরম বিপাকে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।

শাকসবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেও স্বস্তির খবর মাংসের বাজারে। নতুন করে বাড়েনি মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর গরু ও খাসির মাংস যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও ১ হাজার টাকা কেজি।

এদিকে দু-তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে সব আদার দামই নিম্নমুখী। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ভিয়েতনাম, বার্মা ও ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলেন, আমদানি বাড়ায় দাম কমতির দিকে। এ ছাড়া আদা কাঁচামাল হওয়ায় মজুত করা সম্ভব নয়। এখানে সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে রসুনের দাম। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজারও। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মাগুর ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার ৪০০ টাকা ও শোল ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতিকেজি টেংরা ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, পাবদা ৭০০ থেকে ৮০০, চিংড়ি ৯৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ থাকার পরও বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। তাপস নামে এ ক্রেতা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত মাছের জোগান রয়েছে। তবুও দাম বাড়তি। 

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দাম ১৯-২২ শতাংশ এবং কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫-৩৮ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫-৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল ছিল ৪০-৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫-৪৫ টাকা। কাঁচা মরিচ গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৯০-৫০০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০-৩০০ টাকা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ