1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
ঝালকাঠিতে আন্ত:জেলা চোর চক্রের মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কারিগরি শিক্ষা সপ্তাহ পালিত জনসেবায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি- ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল উপজেলা নির্বাচন/ জনপ্রতিনিধি নয়, জনসেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চাই- রাজিব ব্র্যাকের সহযোগীতায় নিরাপদে বিদেশ যাচ্ছে মানুষ , ফেরতরা পাচ্ছেন সহায়তা বাকেরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রাজিব তালুকদারকে চায় উপজেলাবাসী বরিশাল ডিসি ঘাট দখলে মরিয়া চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবো- চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর

সঞ্চয় ভেঙে, ধার করে চলছে মধ্যবিত্তের সংসার

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭৫ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক // করোনা মহামারির কারণে আগে থেকেই দেশে চলছিল অর্থনৈতিক মন্দা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে চাপে ফেলে দেশের অর্থনীতি। প্রায় এক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের বাজারে বেড়েছে প্রায় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ডলারের। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নিলেও সরকার হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। যার প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্রে। সাধারণ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে কোনো রকম টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এমনকি অনেকের সঞ্চয় ভাঙার পরও ধার করে চলতে হচ্ছে।

সঞ্চয় পরিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ কমেছে তিন হাজার ১০৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার ৪৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকার। বিপরীতে পরিশোধ হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে সেটিই হলো নিট বিক্রি। অর্থাৎ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে ওই অর্থ। সরকার তা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির ভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বহু পরিবার সঞ্চয় ভেঙে তাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। ব্যাংক খাতে অর্থ কমে যাওয়াসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ বাড়ায় আমানতের ওপর প্রভাব পড়ছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে মূল্যস্ফীতিতে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষ। ব্যয়ের সঙ্গে আয় না বাড়ায় জীবিকানির্বাহ করতে একদিকে জীবনযাত্রার মানে লাগাম টানতে হয়েছে, অন্যদিকে হাত পড়েছে সঞ্চয়ে। অনেকে এখন সঞ্চয় ভেঙে সংসার খরচ মেটাচ্ছেন।

মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা কমছে কি না তা বোঝার সবচেয়ে বড় উপায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি এবং আমানতের প্রবৃদ্ধি। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্রে যথাক্রমে ৩৯৩ কোটি টাকা ও আট কোটি টাকা বিনিয়োগ বেড়েছিল। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে ভাটা শুরু হয়। সেপ্টেম্বরে নিট বিনিয়োগ কমেছে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শুধু সেপ্টেম্বর নয়, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যথাক্রমে ৯৬৩ কোটি টাকা, ৯৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে এক হাজার ৪৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নিট বিক্রি কমেছে। অর্থাৎ এখন মানুষ যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছে, তার চেয়ে বেশি ভেঙে ফেলছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ