নিজস্ব প্রতিবেদক // পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া। স্থানীয় ভোটাররা এ নির্বাচনকে নৌকার ভরাডুবি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
নির্বাচনে নিকটতম প্রার্থীও হতে পারেননি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট নৌকার প্রার্থী। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদ থেকে সদ্য বহিষ্কার হন ওই বিদ্রোহী প্রার্থী।
জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম স্বপনের আকস্মিক মৃত্যুতে নিয়মানুযায়ী ওই ইউপিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন।
পরে ২৫ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ওই ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন আট হাজার ৪৯৯ জন। এর মধ্যে থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) মো. সেলিম মিয়া দুই হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন, যেখানে নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৫১০ ভোট। নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে ১১৭৭ ভোটের ব্যবধানে বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম মিয়া জয়ী হন।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকটতম প্রার্থী ছিলেন কামাল হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি দুই হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। উক্ত নির্বাচনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সেলিম মিয়া বলেন, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা থাকার কারণেই দলীয় প্রার্থীর চেয়েও হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছি। এ জয় আমার না, এ জয় কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সব সাধারণ জনগণের।
Leave a Reply