1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
উপজেলা নির্বাচন/ জনপ্রতিনিধি নয়, জনসেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চাই- রাজিব ব্র্যাকের সহযোগীতায় নিরাপদে বিদেশ যাচ্ছে মানুষ , ফেরতরা পাচ্ছেন সহায়তা বাকেরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রাজিব তালুকদারকে চায় উপজেলাবাসী বরিশাল ডিসি ঘাট দখলে মরিয়া চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবো- চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর পরিবারের উদ্যোগে প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মানবিক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের উদ্যোগ, সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার বিতরণ হিজলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর মৎস্য অধিদপ্তরের অতর্কিত হামলা

নিয়ন্ত্রণহীন কাচাঁ বাজার, জনজীবনে নাভিশ্বাস

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩
  • ৫৩ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক // রমজানের পর থেকেই নিয়ন্ত্রনহীন রাজধানীর কাঁচা বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। মাছ, মাংস ও সবজির বাজার দিন দিন আরও চড়া হচ্ছে। আদায় লেগেছে আগুন, জিরার দাম অস্বাভাবিক। আর পেঁয়াজ, কাচামরিচের দাম এখন আকাশছোঁয়া। তেল-চিনি, মাছ-মাংসের দাম বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পদের মসলার অস্বাভাবিক দাম।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়েও বেড়েছে। সাধ্যের মধ্যে মিলছে না মাছ। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৩০০ টাকা কেজির কমে মিলছে না আদা। চীন থেকে আমদানি করা ভালোমানের আদার দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায়।

অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এ পেঁয়াজ ও আদার দাম ছিল বর্তমান দামের অর্ধেক। রমজানের ঈদের আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায় এবং আদা ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে এসময়ের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

মসলার বাজারে কাঁচামরিচের দামও এখন আকাশছোঁয়া। বাজারে কাঁচামরিচের কেজি এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

বিক্রেতারা এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আমদানি বন্ধ ও নানা ধরনের সংকটের কথা বললেও ক্রেতারা তা মেনে নিতে নারাজ। ক্রেতারা বলছেন, মাছ-মাংস, মসলা ও শাক-সবজিসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামে দারুণ বিপাকে সাধারণ মানুষ।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সবজির দাম কমেনি। বরং এ বছর চড়া দামের সবজির তালিকায় যোগ হয়েছে সচরাচর স্থিতিশীল থাকা আলুও। এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়তি দামে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজারে আলুর দাম আরও বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুদিন আগেও ছিল ৩৫ টাকা।

আলুর দাম বাড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেও। সংস্থাটি বলছে, বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম ২৯ শতাংশ বেড়েছে। আর বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ। গত বছর এসময়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৮ থেকে ২৫ টাকা। যা এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির পাশাপাশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের বাজারও। হুট করে সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৬০০ টাকা কেজির কমে কেনা যাচ্ছে না টেংরা, কই, শিং ও চিংড়ি মাছ। চাষের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকার বেশি দামে। দুই কেজি বা তারচেয়ে বড় হলে দাম কেজিতে আরও ১০০-২০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এমনকি ছোট আকারের পাঙাশ-তেলাপিয়া মাছের দামও এখন কেজিপ্রতি ২৪০-২৫০ টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ে ২০০ টাকা কেজি বা তারও কমে পাওয়া যেতো।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকানগুলোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও চিনি ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখনো চিনির সংকট কাটেনি। অধিকাংশ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা ডজন। গরুর মাংসের দাম রমজানের পর থেকে দুই দফা বেড়ে এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বাড়ছে। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানির বিকল্প নেই। পেঁয়াজ আমদানি না করা গেলে বাজার আরো ঊর্ধ্বমুখী হবে। কারণ বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। ঋণপত্র খোলায় (এলসি) জটিলতার কারণে চাহিদামতো আদা ও রসুন আমদানি করতে পারছেন না তাঁরা।

দেশে কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৬ মার্চ থেকে হিলিসহ দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। পাবনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে আদা-রসুনের দাম বাড়তি :

খাতুনগঞ্জে আমদানি করা আদা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৫০ টাকায়।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘বাজারে মিয়ানমারের আদা পাইকারিতে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় এবং ভিয়েতনামের আদা ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের আগেও এই আদা বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এই মাসের শুরুতে দাম বেড়ে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন আরো বাড়ল।’

জানতে চাইলে অ্যাগ্রো কমোডিটি ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চীন থেকে সবচেয়ে বেশি আসে আদা ও রসুন।

চীনে এখন আদার বুকিং দর অনেক চড়া। দুই হাজার ৫০০ ডলারের আদা কিনে দেশের বাজারে পৌঁছতে কেজি ৩০০ টাকার ওপরে পড়বে। এই দামে তো আদা বিক্রি হবে না। রসুনের অবস্থাও তাই। এ জন্য ব্যবসায়ীরা চীনের বিকল্প খুঁজে আমদানির চেষ্টা করছেন।’

টিসিবির বাজারদর :

টিসিবির বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বাজারদরের তালিকায় পেঁয়াজ, আদা, ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২১ শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারি এই সংস্থাটির তথ্যে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি রসুনের দাম পরিবর্তন হয়নি, কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। দেশি আদা কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং আমদানি আদা কেজি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ২০০ টাকায়।

হিলির বাজার :

সরবরাহ কমে যাওয়ার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে চার দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১০ টাকা বেড়ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আদা ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

হিলি আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, দেশি আদা চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। কৃষকের আদা নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম হচ্ছে।

ভারত থেকে এক-দুই ট্রাক করে আদা আমদানি হচ্ছে, কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা খুব অল্প। তবে প্রচুর পরিমাণে এলসি খোলা হচ্ছে।

আমদানি বাড়লেই আদার দাম ঈদের আগেই কমে আসবে। এদিকে সরকার আমদানির অনুমতি (আইপি) না দেয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচও আসছে না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ