নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে রাজনীতির মাঠ। নৌকা প্রার্থীর বিপরীতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরাও। নগরপিতা বা জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে আসীন হতে নানা কৌশলে ভোটারদের আস্থা অর্জনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। শুধু মেয়র পদেই এ শক্ত লড়াই নয় এবারে প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও প্রতিদ্বন্ধীতায় নেমেছেন অনেক নতুন মুখ। ভোটারদের ভালবাসা অর্জনের পুর্বেও নতুনদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবক হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই অংশ নিয়েছেন এ লড়াইয়ে।
ইতিমধ্যে লড়াইয়ে অংশ নিতে ও মানুষের ভাগ্যোয়ন্ননে ভুমিকা রাখতে নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
জানা যায়, মোঃ আনোয়ার হোসেন রয়েল একজন সমাজ সেবক। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন। সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত।
এ সমাজ সেবক ১২ নং ওয়ার্ডবাসীসহ সর্ব মহলে ইতিমধ্যে মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
ওয়ার্ডের স্থানীয়রা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন রয়েল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন।
তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক।
এছাড়া চারিদিকে যখন করোনা নামক মহামারীতে মানবিক বিপর্যয় চলে আসে ঠিক সেসময়ে ওয়ার্ডবাসীর পাশে থেকে নানা সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শুধু প্রশংসাই কুড়ান না বরংচ স্থানীয়দের মাঝে আস্থার প্রতিক হিসেছে মুল্যায়িত হন।
স্থানীয় আরও কয়েকজন জানান, ওয়ার্ডের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। আমরা নতুন কোন জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায় রয়েছি। যিনি শুধু বরাদ্দের বাইরে নিজস্ব উদ্যোগে ঘোচাবেন মানুষের দুর্ভোগ। ওয়ার্ডকে একটি নান্দনিকতা উপহার দিবেন।
রয়েল আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডের মানুষ আমায় ভালবাসে। তাদের এমন ভালবাসাই আমার শক্তি। তাদের পাশে আগেও যেমন ছিলাম বর্তমানেও আছি আর মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত জনগণের সেবায়ই থাকবে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
নির্বাচিত হতে পারলে ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যাগুলি সমাধানে আমার প্রচেষ্টা থাকবে সর্বাত্নক। এর মধ্যে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন। যাতে মানুষকে হাটু সমান পানিতে ঘর বন্ধি হয়ে থাকতে না হয়। মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে না হয়।এছাড়া সর্ব বিষয়ে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমার প্রচেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ।
নির্বাচন অনুষ্ঠিতের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী । সেক্ষেত্রে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যথাযথভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যোগ্য প্রার্থীকে বাছাইয়ে ভোটারদের প্রতি তিনি শতভাগ আস্থা ও তাদের প্রতি ভালবাসা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে নির্বাচনী কর্মকান্ডে ওয়ার্ড ঘিরে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। রয়েল বলেন, ইতিমধ্যেই তার কর্মী সমর্থকদের হুমকি প্রদর্শন ও ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে একটি মহল। তবে সেটিকে তিনি কর্ণপাত না করে মানুষের দোয়া ও ভালবাসাকে সারথী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ মে। ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ২৫ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ২৬ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোট কেন্দ্র ১২৩টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪০৭ জন। ১২ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫১৭৮জন,কেন্দ্র ২টি কক্ষ ১৬টি। তবে ভোটার এবং ভোট কেন্দ্র আপডেট হচ্ছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানাগেছে ।
Leave a Reply