শুক্রবার সকালে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোর রমজান আলী বেপারী মারা যায়। রমজান হাজেরা খাতুন স্কুল সড়কের বাসিন্দা বাদল বেপারীর ছেলে। রমজান ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক।
আটককৃতরা হলো- হাজেরা খাতুন সড়কের আল-আমিন হাওলাদারের ছেলে নয়ন হাওলাদার ও লুৎফুর রহমান সড়কের বাসিন্দা সাকুরা পরিবহনের হেলপার রেজাউল হাওলাদারের ছেলে রিফাত হাওলাদার। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত হৃদয় এলাকা থেকে পালিয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জনিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাজেরা খাতুন স্কুলের পিছনে বালুর মাঠে পটকা ফুটাচ্ছিল ওই চারজন। এ সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আটককৃতদের সাথে রমজানের দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে রমজানের মাথায় ঘুষি ও পেটে লাথিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তারা। এতে রমজান অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ সকালে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই দুই জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে নিহতের স্বজনরা।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা এয়ারপোর্ট থানার এসআই সিএম মেহেদি হাসান জানিয়েছেন, রমজানের মাথায় ও বাম কানের উপরিভাগে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘুষিতে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ জানানো সম্ভব হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply