বুধবার সকালে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সাফজয়ী ২৩ জন নারী ফুটবলার ও ১১ জন প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তাকে সম্মাননা চেক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা এবং প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের পর ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তারা দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারেনি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই আমরা একদিকে জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন, আরেকদিকে খেলাধুলার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেই।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথম বারের মতো আইসিসি ট্রফি পায়। ’৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের আয়োজন আমরা করেছিলাম। আইসিসিতে আমাদের ক্রিকেট দল যখন জিতে আসে আমরা বিরাট সংবর্ধনাও দিয়েছিলাম,যাতে মানুষ উৎসাহিত হয়। দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ক্রীড়াঙ্গন আবার একটা কলঙ্কজনক অবস্থায় চলে আসে।
অনুষ্ঠানের উপস্থিত খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। খেলার জগতে আসলেই আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা ও আমার বাবা খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ফুটবল খেলতেন। জামাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। আমার বাসাটাই ছিল স্পোর্টস জগত। আমার পরিবারটা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্রীড়াচক্র যখন তৈরি করা হয় তখন আমরা সাধ্য মতো সহযোগীতা করেছিলাম।
সেপ্টেম্বরে সাফ উইমেনস টুর্নামেন্টে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। এ জন্য এই ফুটবল দলকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হলো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের চ্যাপিম্পয়ন ট্রফি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী স্মারক প্রদান করেন বাফুফের সভাপতি।
Leave a Reply