1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
বাকেরগঞ্জে জমি রেকর্ডের কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ , সাংবাদিককে হুমকি- থানায় জিডি! বরিশাল গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আধুনিক দেশ ও সমাজ গড়তে হলে শিক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই-শিল্পপতি মিজানুর রহমান বরিশালে রাতের আধারে বিএনপি’র কর্মীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত, ঢাকায় প্রেরণ ! আলহাজ্ব মাহবুব মোল্লা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল সম্পন্ন জিপিএইচ ইস্পাতের আয়োজনে ‘জিপিএইচ মহারাজ দরবার’ অনুষ্ঠিত বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে প্রত্যাহার হওয়া ব্যক্তিই মাউশির নতুন ডিজি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে- বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান  বরিশাল বিআরটিএ কর্তৃক গণশুনানি অনুষ্ঠিত আলহাজ্ব মাহবুব মোল্লা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল আগামীকাল

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল, এখনো অরক্ষিত উপকূল

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ২০১ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি // আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। এদিন প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। সেদিনের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।

দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশী। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের এই ঘূর্ণিঝড়ে কেউ কেউ বাবা, মা আবার কেউ কেউ ভাই বোনসহ স্বজনদের হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল।

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ছয় মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয় এবং এতে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

এদের বেশিরভাগই নিহত হয় চট্টগ্রাম জেলার উপকূল ও দ্বীপসমূহে। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতিয়া দ্বীপে নিহতের সংখ্যা সর্বাধিক। শুধু সন্দ্বীপেই মারা যায় প্রায় ২৩ হাজার লোক।

ধারণা করা হয়, এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। সাগর ও নদীর উপকূল প্লাবিত হয়। কর্ণফুলী নদীর তীরে কংক্রিটের বাঁধ থাকলেও এটি জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংস হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১০০ টন ওজনের একটি ক্রেন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে স্থানচ্যুত হয় এবং আঘাতের কারণে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

বন্দরে নোঙর করা বিভিন্ন ছোট বড় জাহাজ, লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অনেক যানও ছিল। এছাড়া প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

২৯ এপ্রিলের সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে আসে বার বার। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। প্রলয়ংকরী এই তাণ্ডবের ৩১ বছর পরও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়নি। অরক্ষিত উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের খবর শুনলে এখনও নির্ঘুম রাত পার করেন।

আনোয়ারা রায়পুরে এখনও স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়নি। রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া, বাইঘ্যার বাড়ি, গলাকাটার ঘাট অংশে ব্লক দেয়া হয়েছে। ছত্তার মাঝির ঘাট ও পারুয়াপাড়া এলাকার কিছু অংশে ব্লক দেয়ার কাজ চলমাল রয়েছে। উপজেলার গহিরা এলাকা পুরোটাই বেড়িবাঁধের আওতায় আসছে।

২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে আঘাতহানা প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল সীতাকুণ্ডের সলিমপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৯টি ইউনিয়ন। প্রায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন ও ৩০-৩৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূল পরিণত হয়েছিল বিরাণ ভূমিতে। এসময় মারা গিয়েছিল এলাকার প্রায় সাত হাজার মানুষ। আর নিখোঁজ হয়েছিল প্রায় তিন হাজার শিশু-নারী-পুরুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় তিনশত কোটি টাকার সম্পদ। উপকূলের আংশিক বেড়িবাঁধ সংস্কার হলেও এখনও এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারিসহ উপকূলীয় এলাকায় গত ৩০ বছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে কয়েক’শ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশবাড়িয়ার বোয়ালিয়াকূল বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন পর সংস্কার হলেও এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, আনোয়ারা উপকূলের বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া খালের বেড়িবাঁধও নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর কাজ কিছুটা থমকে ছিল। বর্তমানে পুরোদমে চলছে প্রকল্পের কাজ। আশা করছিন শীঘ্রই উন্নয়ন কাজ শেষ হবে।

১৯৯১ সালের এইদিনকে স্মরণ করে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় প্রতি বছর ২৯ এপ্রিল ঘরে-ঘরে মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানি, দোয়া কামনা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন আয়োজনে দিনটি পালন করে আনোয়ারা, বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ সমগ্র উপকূলীবাসী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ