
অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানা পুলিশকে অহেতুকভাবে দায়ী করার অভিযোগ উঠেছে। একইসাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরিশালে না থাকলেও মিথ্যা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন একাধিক পুলিশ সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সূত্রমতে, সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্ধের জেরধরে সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্ববাড়ি গ্রামের নজির সিকদারের ছেলে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সিকদার লিটুকে (৪২) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যাসহ নিহতের ছোট ভাই সুমন সিকদার (৩৫) ও বোন মুন্নি বেগমকে (৩৮) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা লিটুর ঘরে ভাঙচুরসহ লুট করে তার মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
একাধিক পুলিশ সদস্য জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের উপস্থিতি ছিল না তবে তাৎক্ষনিক ঘটনা শুনামাত্রই গন্তব্যের দিকে ছুটছিলেন তারা। এরই মধ্যে হতাহতের ঘটনা সংঘটিত হয়ে যায়। এরপর অনেককেই সেখান থেকে জড়িত সন্ধেহে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে থানা হেফাজতে নিয়ে আসলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপর সেখান থেকে বাদীর শনাক্তের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। বাকিরা বাদীর শনাক্ত তালিকা ও জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। সবমিলিয়ে ৭ জনকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয় বলেও জানান তারা। এদিকে জানা গেছে, শোনা-মাত্রই পুলিশের বিপুল সদস্য ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দেন। পরবর্তীতে অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন করা হয়। ।
গত শুক্রবার দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মুন্নি বেগম জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা তার স্বামী জাকির হোসেন গাজী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন। এনিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ হয়। সম্প্রতি তিনি ও তার স্বামী পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালত থেকে তারা জামিন নিয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহায়তায় বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে একদল লোক তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। এসময় তার ভাই লিটন সিকদার লিটুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যাসহ তাদের কুপিয়ে জখম করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কুপিয়ে লিটুর একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। তার ছোট ভাই ও বোনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনা শোনা-মাত্রই পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কোন আসামি কিংবা জড়িত কাউকে অর্থের বিনিয়মে ছেড়ে দেয়ার তথ্য পুরোটাই মিথ্যা। আমি একটি মামলার জন্য সেদিন খুলনাতে ছিলাম। বাদীর শনাক্তের মাধ্যমে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। একটি মহল থানা পুলিশকে নিয়ে অপ-প্রচার চালিয়েছে। ঘটনায় স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply