
অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে অবৈধ বালু ভরাটের পাইপলাইন নিতে বাধা দেওয়ায় নগর ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর ও গভীর রাতে বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মো: মিরাজ হাওলাদার। তিনি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়াপুর এলাকার বাসিন্দা ও নগর ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক। গত বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১ টা ও রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে ঐ এলাকার স্টিল ব্রীজ সংলগ্ন মিরাজের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হলো- একই এলাকার ড্রেজার ব্যবসায়ী জসিম ও দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন। তারা পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ শাহরিয়ার বাবুর অনুসারী ছিল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। নৌকার নির্বাচনী প্রচারণাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দিবসে শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ ব্যানার রয়েছে তাদের বলে জানান ভুক্তভোগী মিরাজ। তিনি আরও জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে উভয়েই এখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপি বনে গিয়েছেন। আর এখন বিএনপি’র দাপুটেই এলাকাজুড়ে কৃষিসহ সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করে অবৈধ বালু ভরাটের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রাও।
এদিকে ভুক্তভোগী মিরাজ আরও জানান, জসিম ও দেলোয়ার এলাকায় অবৈধ বালু ভরাটের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এর আগে আমাদের কৃষি জমির ওপর থেকে বালুর পাইপ নেয়ায় ফসল বিনস্ট হয়। ধানক্ষেতে বালু পড়ায় চাষাবাদ ব্যহত হয়। এর প্রতিবাদ করায় তখন থেকেই আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে আমার নিজ কৃষিজমি, মসজিদের জমি ও কবরস্থানের পার্শ্ব ও বাড়ির পিছন থেকে তারা ড্রেজারের পাইপলাইন স্থাপন করে। এতে আমি বাধা প্রদান করলে আমাকে কয়েকটি চর-থাপ্পর দেয় জসিম৷ এসময় বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে আমি এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এদিকে মিরাজ আরও জানান, আমি থানায় অভিযোগ দায়েরের পরপরই থানা পুলিশের এসআই মাইনুদ্দিন আমাকে রাতে বাসায় না থাকতে মুঠোফোনে জানান। আর ওপরের নির্দেশ আছে বলেও জানান তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে জসিম ও দেলোয়ার তাদের বাহিনী নিয়ে প্রায় ১২/১৪ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। জানালার গ্রীলসহ মুল ফটকেও পিটিয়ে ভাংচুর করে। এসময় এসআই মাইনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতে কিভাবে হামলাকারীরা এভাবে ভাংচুর চালায়? এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এছাড়া অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে জসিম ও দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির সিকদার জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুরের বিষয়টি জানা নেই। তবে দুই পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply