নিজস্ব প্রতিবেদক
আধুনিক দেশ ও সমাজ গড়তে হলে শিক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই। তাই বাঁচতে হলে জানতে হবে, জানতে হলে শিখতে হবে। কারণ একমাত্র শিক্ষাই আলোকবর্তিকা হয়ে জীবন চলার পথ দেখাতে পারে। সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সচেতনতা জরুরী বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান তসলিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি নলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথী হিসেবে এ কথা বলেন তিনি। মিজানুর রহমান স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতিও। এসময় মিজানুর রহমান তসলিম বলেন, একটি দেশ, একটি জাতির অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষা।
এই বিবেচনায় বলা হয়, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। অর্থাৎ একজন মানুষ যেমনি মেরুদণ্ড সোজা করে স্থির দাঁড়াতে পারেন, ঠিক তেমনি একটি জাতির ভিত্তিমূল, উন্নয়ন,অগ্রগতি এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে তার শিক্ষার উপর। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত,সভ্য এবং অগ্রসর। শিক্ষা অর্জন মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকারও বটে। আমাদের দেশে যে ৫টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে কিন্তু শিক্ষা একটি। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সার্বজনীন,অপরিহার্য,ব্যাপক। একজন মানুষকে প্রকৃত মানবিক ও সামাজিক গুণাবলী সম্পন্ন ব্যাক্তি হতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের মন-মানসিকতার উৎকর্ষ সাধন সম্ভব হয়। একটি কুপিবাতি যেমন তাহার পার্শ্ববর্তী এলাকাকে আলোকিত করে তোলে, ঠিক একজন মানুষ যখন সমাজে বিকশিত হয়ে উঠেন তখন তার সাথে তার পরিবার,সমাজ এবং রাষ্ট্রও আলোকিত হয়ে উঠে। এতে করে আরো সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা আলোকিত হবার সুযোগ লাভ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে একজন সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তসলিম ।
তসলিম বলেন, শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারীর পাশাপাশি শিক্ষকদেরও সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। শিশুদের বয়স হওয়া মাত্রই শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের মেধা বিকাশে খেলাধুলার পাশাপাশি নিতে হবে ইতিবাচক নানাবিধ উদ্যোগ। এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। সমাজে তাদের নেতিবাচক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply