নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে ট্রিপল হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গত বুধবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলেন নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডস্থ দপ্তরখানা এলাকার মৃত আলী আহমেদ মিয়ার ছেলে শামীম আহমেদ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথমে মা সুরাইয়া বেগমকে হত্যা করে। এ চিত্র দেখে ফেলায় ছোট ভাইয়ের অন্ত্বসত্তা স্ত্রী শিমুকেও হত্যা করেন শামীম। ওইদিনই কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শিমুর বাবা আজিজ মল্লিক। মামলা নং-৫৬, জি আর নং-২৪৮/৯।
ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় ১৭ মাস কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এরপর থেকেই লাপাত্তা হয়ে যায় ঘাতক শামীম।
আরও জানা গেছে, দায়েরকৃত ওই মামলায় শামীমকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ৩ সদস্যের একটি আভিযানিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেন বরিশাল কোতয়ালী থানার এসআই খোকন, এএসআই বদিউজ্জামান, এএসআই পিনাকি সিকদার।
এদিকে মামলার বাদী আজিজ মল্লিক বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শামিম তার মাকে হত্যা করে। তখন আমার মেয়ে শিমু হত্যা করতে দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে শামিম।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে তখন সাতমাসের অন্ত:স্বত্বা ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায় শামিম। ১৫ বছর পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করায় কোতোয়ালি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারে করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারপুর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Leave a Reply