তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যেই তা প্রমাণ করেছে। দেশের মানুষ এখন কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়, কাজ দেখতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে সেটা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন তিনি।
বিএনপির কর্মসূচির ওপর নেতাকর্মী ও দেশের জনগণের কোন সমর্থন নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কালো পতাকা নিয়ে যে মিছিল হয় সেটা শোক মিছিল। এ মিছিল দিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি সম্ভব নয়। সরকার পতন তো দূরে থাক, বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিগগিরই মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি চালু হবে। এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ উন্নয়নের সুবিধা পাবে ঢাকাবাসী।
বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট এখন ১০ মিনিটের ব্যাপার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত ১০-১১ মিনিটে কভার করবে। এখানে অনেক যাত্রী আসা যাওয়া করবেন। এর সুফল অবশ্যই পাবে রাজধানীবাসি। এর সঙ্গে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরো একটু সহজ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। এখন যে অংশ উদ্বোধন হচ্ছে না, সেখানেও অনেক কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারবো। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত গন্তব্য। পুরো অংশের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট ৪৬ কিলোমিটার।
তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ পদ্মাসেতুর সুফল যেমন পাচ্ছে, উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্রোরেলেরও যথেষ্ট সুফল পেতে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম ট্রায়াল আমি উদ্বোধন করেছি। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ উদ্বোধন করার পর এর সুফল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply