নিজস্ব প্রতিবেদক // নগরীর ভাটিখানা জোড় মসজিদ এলাকায় কথিত সৌদি প্রবাসী জাকারিয়া সোহাগ নামে এক সন্ত্রাসী দৈনিক সাহসী সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃনিয়াজ শেখ কে লাঞ্চিত ও মারধর করে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরী ভাটিখানা জোড় মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।এবিষয় ভুক্তভোগী নিয়াজ কাউনিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। জানাযায়, এক সময় জাকারিয়া রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। পরবর্তীতে এলাকায় নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ও মাদকাসক্ত হয়ে পরে এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জেল হেফাজতেও দেয়া হয়।এরপর তার উপর বিভিন্ন মহলের চাপ আসলে গা-ঢাকা দেয় এবং কিছু দিন পর দেশ ত্যাগ করে সৌদি পাড়ি জমায়। এবিষয় ভুক্তভোগী নিয়াজ বলেন, জাকারিয়া ও আমি পূর্ব পরিচিত। একসময় আমরা একএে বরিশাল মহানগর ছাএলীগ এর রাজনীতির করতাম।পরবর্তীতে আমি সাংবাদিকতা পেশায় এবং বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক,৭নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর এ্যাড : রফিকুল ইসলাম সাথে এলাকায় বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে সময় দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন,বৃহস্পতিবার জাকারিয়া আমাকে রাত ৩:৫১ তে দুইবার এবং ৪:০৯ একবার ফোন দেয়। এসময় আমার বাচ্চা পাশে ঘুমানোর কারনে ফোন না ধরে কেটে দেই।পরবর্তীতে সে আবারো ফোন দেয় এবং তখন বাধ্য হয়ে ফোন কেটে দিয়ে সাইলেন মুডেকরে রাখি। বৃহস্পতিবার জোড় মসজিদের সামনে থেকে যাওয়ার পথে জাকারিয়া সাথে দেখা হয় এবং তাকে বলি একটা সুস্থ লোক কি রাত্র চারটার সময় কাউকে ফোন দেয় এ কথা বলায় জাকারিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এক কথায় দুই কথায় জাকারিয়া বলে, তুই আমার ফোন এবং আমার ফ্যামিলির লোকের ফোন রাত্র তিনটার সময় ট্রাকিং করো তার প্রমান আছে আমার কাছে।একথা বলে সে আমার শার্টের কলার ধরে এবং বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা কিল ঘুসি দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু লোক এগিয়ে আসে এবং জাকারিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এসময় ভুক্তভোগী নিয়াজ কথা না বাড়িয়ে সোজা থানার সামনে উপস্থিত হন এবং বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম পিপিএমকে অবগত করেন। এবিষয় কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আসাদুজ্জামান বলেন,জোড় মসজিদের মারামারির ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়রি নেয়া হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে বরিশাল সাংবাদিক মহল তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
Leave a Reply