নিজস্ব প্রতিবেদক // ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় মুখে হাসি ফুটেছে। জেলেদের’। ‘ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে জমে সরগরম আড়ত
। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পত্রিকাগুলোতে এমন সংবাদ হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। আর এসব খবরে জিভে জল চলে আসে অনেকের। কিন্তু বাজারে গেলেই বাধে বিপত্তি। কারণ খুলনার বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। একই সাথে আকাশচুম্বী। দাম। গতবছরের তুলনায় এবার ইলিশের সরবরাহ অর্ধেকেরও কম।
খুলনার বাজারে বড় সাইজের ইলিশ মাছ একেবারে দুষ্প্রাপ্য। মাঝারি ও ছোট যা পাওয়া যাচ্ছে তার দাম লাগামছাড়া। অনেক ক্রেতা বেশি দাম দেখে ফিরে যাচ্ছেন।
এছাড়া বাজারে অন্যান্য মাছের দামও বেশি। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ইলিশ না কিনে ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের। নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে গল্লামারী থেকে আসা মোঃ আক্তার হোসেন জানান, বাজারে ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। দামও লাগামহীন।
ফলে ইলিশের স্বাদ নিতে পারিনি এবছর। শুনছি অনেক মাছ ধরা পড়ছে। আবার ফেইসবুক বা পত্রিকায় সংবাদ দেখছি অনেক মাছ ধরা পড়ছে। তাহলে দাম কমছে না কেন? বুঝলাম না। টুটপাড়া জোড়াকল বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ভেবেছিলাম ঈদের পর ইলিশের দাম বিশেষ করে সকল মাছের দাম কমবে। কিন্তু কিছুই হলো না। দাম আরও বাড়ছে।
ইলিশের দেখাও তেমন মিলছে না। রূপসা কেসিসি সান্ধ্য বাজার এলাকারে ব্যবসায়ী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি বলেন, পাইকারি আড়তে তেমন মাছ আসছে না।সাগর এবং নদীতে মাছ ধরা পড়ছে না।
ফলে লোকালয়ে মাছ আসছে কম। এছাড়া কয়েকদিন নিম্নচাপ রয়েছে। তারও একটি প্রভাব পড়ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই মাছের দাম বিশেষ করে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমবে।
নগরীর ৫ নম্বর ঘাঁট ঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, গতবছর এই সময় প্রতিদিন একটি ঘরে ২০-২৫ মণ ইলিশ এসেছিল। আর এবার এক/দুই মণ করে আসছে। এছাড়া গতবছর ৭০০-৯০০ গ্রামের ইলিশের মণ ছিল ৩৩-৩৮ হাজার টাকা। আর এবার সেই সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা মণ দরে।
কেসিসি রূপসা সাদা মাছ আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুর রহমান ঝন্টু জানান, কয়েকদিন হলো সাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সেই মাছ আড়তে আসতে সময় লাগে।
এছাড়া সাগরে নিম্নচাপ রয়েছে। আবহাওয়াও বেশ খারাপ। ফলে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। আবার যা ধরছে সেই মাছ লোকালয়ের আড়তে পাঠাতে পারছে না। আমরা আশাবাদী খুব শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে।
Leave a Reply