নিজস্ব প্রতিবেদক // শনিবার (২৯ জুলাই) পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢাকার সাত থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর, কদমতলী ও বিমানবন্দর থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ৯টি মামলার বাদী পুলিশ ও বাকি দুটি মামলার বাদী দুইজন ভুক্তভোগী।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত দায়ের করা এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির ১৪৯ নেতাকর্মীকে। দায়ের করা এসব মামলায় উল্লেখিত আসামির সংখ্যা ৪৬৯ জন। এছাড়া, অজ্ঞাত হিসেবে আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গতকাল ডিএমপি অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি।
দলটির নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নি সংযোগ করে বাস ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, এপিসি ভাঙচুর করে ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়।
তিনি জানান, এসব অপরাধে ডিএমপি এলাকায় মোট সাতটি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৯ জনকে।
ডিবি পুলিশ, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্যান্য বিভাগের টিম এই আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
দায়ের করা এসব মামলার বাইরেও দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ডিসি ফারুক বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা তা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, শনিবার (২৯ জুলাই) আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অবস্থান করেছেন। এখানে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
Leave a Reply