আজ বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অপশক্তি। অগণতান্ত্রিক পন্থায় সামরিক সেনা ছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি সর্বদা গণতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের অগ্রসরমান গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দেড় দশক ধরে শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় দেশের গণতন্ত্র অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মতামতকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়েছে সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম। গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে সর্বদা এদেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপ-নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি কারা করেছিল তা দেশবাসীর অজানা নয়। এদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে বিএনপি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করেছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ২১ সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের হত্যা করে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গুম-খুন মিথ্যা মামলা ও অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকী নির্বাচনের সময় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকার শুধুমাত্র তাদের রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবে। বিশ্বে প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এর ব্যত্যয় ঘটানোর অবকাশ নেই।
Leave a Reply