নিজস্ব প্রতিবেদক // বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জমি জমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ইদ্রিস মোল্লা নামে এক ব্যক্তি আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের মধ্য নলুয়া গ্রামের মৃত ধলু মোল্লার ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য কোহিনুর বেগমের স্বামী।
গত মঙ্গলবার রাত দুটার দিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি হলে বিষয়টি চাঞ্চল্য হয়। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন ইদ্রিস মোল্লার শরীরের কোন ধরনের কাটাছিরা বা জখম নেই। অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে মধ্য নলুয়ার বাসিন্দা মৃত মাহমুদ হাসান সাবু মোল্লা ও তার ভাইদের ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত ধলু মোল্লার ছেলে ইদ্রিস মোল্লা ও সিদ্দিক মোল্লা গংদের পূর্ব বিরোধ চলে আসছে।
মৃত সাবু মোল্লা ও তার ভাইদের পরিবার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস না করার কারণে তাদের ওয়ারিশ জমি জোরপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠছে ইদ্রিস মোল্লা ও তার সহযোগীরা। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমির ভালো-মন্দ দেখাশুনা করেন সাবু মোল্লার মেয়ে ইরশাত জাহান। ইসরাত জাহান জানান, আমার বাপ চাচাদের ওয়ারিশ জমি ভাগ বন্টন হয়নি।
যৌথভাবেই রয়েছে। আমরাই দেখাশোনা করি। প্রতিপক্ষ ইদ্রিস ও সিদ্দিক মোল্লা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা বাড়িঘর না থাকার কারণে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাজা ও জাকিরকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব দেই। কিন্তু তারা তারা যখন জমির ভালো-মন্দ দেখাশোনা করে তখন ইদ্রিস, সিদ্দিক গং তাদের উপরে হামলা মামলার ষড়যন্ত্র চালায়।
আমাদের না থাকার সুযোগে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। বিরূপ পূর্ণ জমি দখল করতে একের পর এক হামলা মামলা সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে তারা। কোন কিছুতে আমাদের দমন করতে না পেরে সুকৌশলে ইদ্রিস মোল্লা গত ৩০ মে রাত একটার দিকে হাত-পা বেঁধে আহত ঘটনার নাটক সাজিয়ে আমাদের লোকদের উপর মামলা করতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ বিষয়ে ইদ্রিস মোল্লার স্ত্রী কহিনুর বেগম জানান, কে বা কারা মারছে কিছুই জানেনা তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বিষয়টা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।
Leave a Reply