নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘনিয়ে আসছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ইতিমধ্যে ১০ জন মেয়র প্রার্থীসহ ১৯৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা প্রদানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মনোনয়ন জমার কর্মযজ্ঞ। এবারে যাগাই-বাছাই , বাতিল ও প্রতিক বরাদ্দের মধ্য দিয়েই শুরু হবে নির্বাচনের মুল আনুষ্ঠানিকতা।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে এবারে নতুন প্রার্থীদের সংখ্যার আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। ইতিমধ্যে নতুন প্রার্থীরা নানা সমাজসেবামুখী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে জনগণের ভরসা ও আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন। ভোটারদের ভালবাসা অর্জনের পুর্বেও নতুনদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবক হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই অংশ নিয়েছেন এ লড়াইয়ে।
তেমনি সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদ মাহমুদ স্থানীয়দের ভরসাস্থল হয়ে আস্থা অর্জন করেছেন। জানা যায়, মানবিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সাইদ মাহমুদ একজন সমাজ সেবক ।
সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন। সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত। এ সমাজ সেবক ১৭ নং ওয়ার্ডবাসীসহ সর্ব মহলে ইতিমধ্যে মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
ওয়ার্ডের স্থানীয়রা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সাইদ মাহমুদ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন।
ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক। এছাড়া চারিদিকে যখন করোনা নামক মহামারীতে মানবিক বিপর্যয় চলে আসে ঠিক সেসময়ে ওয়ার্ডবাসীর পাশে থেকে নানা সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শুধু প্রশংসাই কুড়ান না বরংচ স্থানীয়দের মাঝে আস্থার প্রতিক হিসেছে মুল্যায়িত হন তিনি।
স্থানীয় আরও কয়েকজন জানান, ওয়ার্ডের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। আমরা নতুন কোন জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায় রয়েছি। যিনি শুধু বরাদ্দের বাইরে নিজস্ব উদ্যোগেও ঘোচাবেন মানুষের দুর্ভোগ। একটি নান্দনিক ওয়ার্ড উপহার দিবেন । এদিকে কয়েকজন বৃদ্ধ ভোটার জানান, ওয়ার্ডে নানা সমাজসেবামুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়ন ও ইতিবাচক মুল্যবোধ সম্পন্ন একজন যোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাইদ মাহমুদ ।
তার নেতৃত্বে আগামীর ১৭ নং ওয়ার্ড হবে একটি মডেল ওয়ার্ড বলে আমরা আশাবাদী। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মানবিক সাইদ মাহমুদ বলেন, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও ১৭ নং ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকার প্রত্যয়েই আমার এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ। মানুষের নানা সুবিধা অসুবিধায় পাশে থেকে তাদের সেবায় মনোনিবেশ ও কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানই আমার লক্ষ্য। ওয়ার্ডবাসীর মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। তাদের একজন হয়ে যেকোন সমস্যা নিরসনে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সাইদ আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডের মানুষ আমায় ভালবাসে। তাদের এমন ভালবাসাই আমার শক্তি। তাদের পাশে আগেও যেমন ছিলাম বর্তমানেও আছি আর মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত জনগণের সেবায়ই থাকবে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। নির্বাচিত হতে পারলে ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যাগুলি সমাধানে আমার প্রচেষ্টা থাকবে সর্বাত্নক। এর মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন। যাতে মানুষকে হাটু সমান পানিতে ঘর বন্ধি হয়ে থাকতে না হয়। মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে না হয়।
তিনি আরও বলেন , এই ওয়ার্ডে রাখাল বাবুর পুকুরের পাড়ে মানুষ বিভিন্ন সময়ে পায়ে হেটে শরীর চর্চা করে থাকেন । সেখানে নানাবিধ সুবিধার পাশপাশি একটি গণসৌচাগার ধরকার। এছাড়া ওয়ার্ডের রায়কাঠি লেনসহ বেশ কিছু স্থানে পান যোগ্য পানির অভাব রয়েছে। যা আমি নির্বাচিত না হলেও টিউবওয়েল স্থাপনের মাধ্যমে দূর করব।
সাইদ বলেন, ওয়ার্ডেই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি গার্লস স্কুল অন্যটি ওমেন্স কলেজ। বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের বিরক্ত করছে কিছু বখাটেরা এমন অভিযোগ আসে। এসব দূর করতে হবে। কিছু ডায়াগণস্টিক সেন্টারে দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা মানুষের প্রতিনিয়ত গলা কাটছে। এগুলোও রুখতে হবে।
এই ওয়ার্ডের বগুড়া রোড ও আগরপুর রোডে একটা লিংক রোড তৈরি করবো। যাতে সহযেই মানুষ আগরপুর রোড থেকে বগুড়া রোড হয়ে যাতায়াত করতে পারেন।
সাইদ আরও বলেন, ওয়ার্ডে বেশ কিছু শালিসি ঝুলে আছে। এগুলো খুবই জটিল। নির্বাচিত হলে সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এলাকাবাসীকে সুন্দর ও শান্তিময় ওয়ার্ড উপহার দিব। এছাড়া সর্ব বিষয়ে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমার প্রচেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, সাইদ মাহমুদ গীর্জামহলস্থ এ কে ইনিষ্টিউ স্কুলের দীর্ঘ বছর ধরে বিদুৎ সাহী সদস্য হিসেবে কাজ করে স্কুল পরিচালনা কমিটিতে কাজ করেছেন। গীর্জা মহল্লা ব্যাবসায়ী মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাইতুল মোকাররম মসজিদ ও পূর্ব জামে মসজিদের কার্য নির্বাহী সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের বরিশাল মহানগর শাখার ১ম যুগ্ন আহব্বায়কও তিনি। এছাড়া ১৭ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি সাইদ মাহমুদ ।
Leave a Reply