গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের দরিবৃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দরিবৃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আঙিনায় প্রায়ই মাদকসেবীরা নেশার আড্ডা জমাত। বিষয়টি আমার নজরে আসায় মাদকসেবীদের নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমার ছেলে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আমির ফয়সাল ভূঁইয়া আনন্দ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাদকসেবী পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বৃ-বড়বাগ গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে মাহিন ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে।’
পরে প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাহিনের বাবাকে অবহিত করলে মাদকসেবীদের সংঘবদ্ধ চক্রটি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে কক্ষের ফ্যান, লাইট, বেঞ্চ ও দরজা জানালা কুপিয়ে তছনছ করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে প্রধান শিক্ষিকার বসতঘরসহ গোয়াল ঘরে হামলা চালায় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় তিনি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মোকশেদ আলী (৬০) বলেন, স্কুলে নেশার আড্ডা না জমাতে ও মাদকসেবন করতে নিষেধ করার কারণে মাহিন, রেজাউলের নেতৃত্বে স্কুলে ও স্কুলশিক্ষিকার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করে মাদকসেবীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে এলাকাবাসী।
ইউপি চেয়ারম্যান কাদির আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি একটি লজ্জাজনক ঘটনা। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে ভুক্তভোগী ও প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নীলুফার হাকিম বলেন, ‘রোববার আমরা স্কুল ভিজিট করে এসেছি। ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে এবিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার দিন রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply