মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগের পর রিটের কার্যকারিতা আছে কি না, এ বিষয়ে শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেছেন আদালত।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফা পিছিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রুলের রায় ঘোষণার জন্য এই দিন দিন ধার্য করা হয়। এর আগে গত ৩০ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল।
২০২১ সালের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও একই অভিযোগে মামলা। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
তবে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি। গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে, গত ৩ এপ্রিল গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এই সিটিতে ভোটগ্রহণ ২৫ মে। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করে তা জমা দেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
Leave a Reply