রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। ৯৬ সালে জামায়াতের সাথে সেদিন তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা আদমজীতে বিএনপির সমাবেশে বোমা হামলা করে বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, আপনি গণভবনের বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা হতে পারে না।
সকল দুর্নীতির আরতদার বর্তমান সরকার প্রধান মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আপনি কেন ব্যবস্থা নেননি। ভারতের আদানী গ্রুপের সাথে আবারো চুক্তি করেছে অথচ ভারতেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক না হোক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। বিশ্ব বাজারে কয়লার দাম ২০০ ডলার আর আদানীর সাথে ৪০০ ডলারে চুক্তি করেছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের আজ ফুঁসে উঠেছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। অচিরেই একদফা কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারের পতন আন্দোলন শুরু করবো আমরা। আগামী নির্বাচন কোনভাবেই এই সরকারের অধীনে হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন বলেন, অবিলম্বে আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে হবে। গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলন কোনোভাবেই শেষ করা যাবে না। আমি আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে আপনাদের সবাইকে রাজপথে থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষক দলের খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।
Leave a Reply