বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বলেন, জাতীর পিতা চেয়েছিলেন এদেশের মানুষের উন্নয়ন করার, এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করার। কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময়ে প্রাণ হারান আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সে সময়ের বাজেটে শিক্ষার জন্য ২১ শতাংশ বরাদ্দ রাখেন। আমাদের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত ই খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যয়কে দেশের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। কৃষি, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে আনবিক শক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার সে বিষয়ে কাজ শুরু করি। মাত্র ৫ বছরে আমরা সে কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিন্তু পরেরবার ক্ষমতায় এসে আমরা সে অধিকার বুঝে নিয়েছি। জাতীর পিতা শুধু করেই দিয়ে যাননি, আমাদের জন্য সবকিছুর ভিত্তি প্রস্তর করে গেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময়ে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম ছিলো। কিন্তু একটা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও গবেষণা কতটা জরুরি তা আমরা উপলব্ধি করি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু নিজের দেশে নয়, বিদেশ থেকে জ্ঞান আহরণ করে দেশের উন্নয়নেও যেন ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছে আওয়মী লীগ সরকার।
Leave a Reply