রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা যেন আর কোনদিন ঘটতে না আসতে পারে, তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি গণবিপ্লব, গণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
মেজর হাফিজের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, মেজর হাফিজ খুব সুন্দর কথা বলেছেন- প্রতিবছর শুধু শোক দিবস পালন করব, প্রতিবছরের শুধু রোদন করব, তাতে কোন লাভ হবে না। আজকে বেরিয়ে আসতে হবে, কোথায় আমাদের সেই তরুণ, কোথায় আমাদের সেই যুবক, কোথায় আমাদের সেই ছাত্ররা যারা এই দেশে ইতিহাস তৈরি করেছে। যারা প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তের সামনে এসেছে, দেশকে বাঁচাতে আজকে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে লেখতে পারে না, সত্য প্রচার করতে পারে না। মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। এ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আর এই দায়িত্ব শুধু বিএনপির একার নয়, সকল দেশপ্রেমিক দল ও নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাই একজোট হলে কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকে থাকতে পারেনি, ইতিহাস তাই বলে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপি’র মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।
Leave a Reply