বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, মিতব্যয়িতার মাধ্যমে এক বছরে ২০০ বিলিয়ন রুপি (৭৬৬ মিলিয়ন ডলার) সাশ্রয় করবেন তারা।
বিলাসবহুল পণ্য কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী বছর পর্যন্ত বিলাসবহুল পণ্য কেনার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সব ধরনের নতুন গাড়ি কেনার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সকাল সাড়ে ৭টায় অফিস খোলার পরামর্শ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণে গ্রীষ্মকালে সকাল সাড়ে ৭টায় অফিস খোলার পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।
ভ্রমণ ব্যয় কমাতে টেলিকনফারেন্সিং তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেকোনো কেবিনেট সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তা বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করবেন না। এছাড়া ভ্রমণ ব্যয় কমাতে টেলিকনফারেন্সিংয়ে উৎসাহিত করা হবে।
সরকারি কর্মচারীদের একাধিক প্লট নয় সরকারি কর্মচারীদের একাধিক প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগির তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ফেডারেল সরকারে নতুন বিভাগ নয় শাহবাজ শরীফ বলেন, ফেডারেল সরকারের বিষয়ে কোনো নতুন বিভাগ তৈরি করা হবে না। আগামী ২ বছর নতুন কোনো প্রশাসনিক ইউনিট, বিভাগ বা সাব-ডিভিশন তৈরি করা হবে না। একটি ‘সিঙ্গেল ট্রেজারি অ্যাকাউন্ট’ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
নিরাপত্তা গাড়ি দেয়া হবে না মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেসব সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা ইতোমধ্যে গাড়ি মনিটাইজেশন সেবা নিয়েছেন সেগুলো ফেরত আনা হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের আর নিরাপত্তার গাড়ি দেয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি পরিস্থিতির বিবেচনা করে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে নিরাপত্তা গাড়ি সরবরাহের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি ইভেন্টে কেবল একটি খাবার তিনি বলেন, খাবারের ক্ষেত্রে সরকারি ইভেন্টগুলোতে কেবল একটি খাবারের অনুমতি দেয়া হবে। ইসলামাবাদের সব মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও ফেডারেল কেবিনেটে একটি মাত্র খাবার থাকবে। যদি চায়ের সময় হয়, তখন কেবল চা এবং বিস্কুট সরবরাহ করা হবে। তবে বিদেশি অতিথি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু, তারপরও আমরা সতর্কতা অবলম্বন করবো, কোনোভাবেই এটা বিলাসবহুল করা যাবে না।
শাহবাজ শরীফ বলেন, এই উদ্যোগগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে এবং নতুন অর্থবছরের বাজেটের সময় ‘অতিরিক্ত ব্যবস্থা’ নেয়া হবে। ফেডারেল কেবিনেট এবং আমি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি, ৪টি প্রদেশের প্রধান বিচারপতি ও আদালত এবং মুখ্যমন্ত্রীদের তাদের প্রতিষ্ঠান ও সরকারে একই ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ করছি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান সরকার। গত বছরের শেষ দিকে এ ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ইসলামাবাদকে ১ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ছিল আইএমএফের। কিন্তু কয়েকবার এ নিয়ে পাক সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও ঋণ ছাড় করেনি সংস্থাটি। আইএমএফ মূলত ব্যয় কমানোর শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এখন সেসব শর্ত ধীরে ধীরে পূরণ করছে পাকিস্তান। সূত্র: ডন।
Leave a Reply