বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা মিজান অনলাইন বলেছে, গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক ট্রাইব্যুনাল চাবাহার শহরের সাবেক পুলিশ কমান্ডার ইব্রাহিম কোচাকজাইকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সংবাদপত্র ফারিখতেগান গত ৯ নভেম্বর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, কর্নেল কৌচাকজাই সেপ্টেম্বরে চাবাহার দক্ষিণ-পূর্ব বন্দরে একটি ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার ভাইকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা সময় ধর্ষণ করেছিলেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ফারিখতেগানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েটির বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না এবং তার অফিসে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কৌচাকজাইয়ের সাথে অন্যকেউ উপস্থিত ছিল না। এছাড়াও কোন নজরদারি ক্যামেরাও ছিল না সেখানে, যা আইনের পরিপন্থি।
মেয়েটি যখন সে বাড়িতে ফিরে আসে, পরিবারের কাছে পুলিশ কমান্ডার তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করে। এরপরই তার পরিবার কর্তৃপক্ষের কাছে কৌচাকজাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয় কিন্তু মেডিকেল পরীক্ষক সেসময় বলেছিলেন মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়নি, যা মেয়েটির পরিবার অস্বীকার করে। এরপরই সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানের অশান্ত দক্ষিণ-পূর্ব শহরটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্ম দেয়।
৩০ সেপ্টেম্বর, শহরের মক্কি মসজিদে জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কয়েক ডজন লোক নিহত হয়, যাকে ‘ব্লাডি ফ্রাইডে’ বলা হয়।
এদিকে মিজান অনলাইন শুক্রবার কথিত ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি, তবে বলেছে কৌচাকজাইকে পুলিশের প্রতি সন্দেহের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাকে ভুয়া পুলিশ বিবৃতি লেখার জন্য ১৫ মাস এবং কিছু আদেশ বাতিল করার জন্য এবং হুমকি দেয়ার জন্য আরও ১৫ কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ইরানে একই সাথে সমস্ত সাজা দেওয়া হয়, তাই তিনি কেবল ১৫ মাস সাজা পাবেন।
সূত্র: এএফপি
Leave a Reply