আজ বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। এ আদেশের ফলে পল্টন থানার এ মামলায় বিএনপির ওই দুই নেতা স্থায়ী জামিনে থাকবেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা তারা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।
ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজন মারা যান ও শতাধিক আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েক নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার না করলেও পরদিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও এ আবেদন এবং জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সবশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এ আদেশের পরদিন সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হন।
Leave a Reply