নিখোঁজ শহিদুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুরে গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিন ভোররাতে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে বাড়ি ফেরার পথে পদ্মা নদী পারাপারের জন্য দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটে ওঠার পর নিখোঁজ হন। এদিকে গত দু’দিন ধরে স্বজনরা পদ্মা নদীর ট্রলারযোগে বিভিন্ন জলমহাল খুঁজেও ব্যবসায়ী শহিদুলের সন্ধান পাননি।
এ ব্যাপারে চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি স্পিডবোটে যাত্রী ছিল ১৮ জন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে ১৬ জন। বাকী ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ঘটনার দুইদিনেও মঙ্গলবার পর্যন্ত পদ্মা নদীতে কোনো ডুবুরি দল নামানো হয়নি।
নিখোঁজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বড় ভাই শাজাহান শেখ জানান, ঘটনার দিন গ্রামের বাড়িতে জমি পরিমাপের দিন ধার্য ছিল। তাই ভোর রাতের দিকে শহীদুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওই দিন স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর থেকে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়ি ও দোহার থানাসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করার পরও আমার ভাই নিখোঁজ শহীদুল ইসলামের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যনেজার গোলাম মোর্তজা জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা নদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, ফরিদপুর ডুবুরি দল ও মাদারীপুর ডুবুরি দল এখানে কাজ করবে।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানের জন্য পদ্মা নদীতে ডুবুরি দল নামানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরিস হালদারের ছেলে সুকুমার হালদার (৬০) নামে এক যাত্রী নিহত হন।
Leave a Reply