বাবা ইমরান শরীফ বলেন, ‘লায়লা লিনা আমার কাছে থাকতে চায়। মায়ের কাছে যাবে না। কিন্তু ওর মা চাপ প্রয়োগ করে ওকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। ও যেতে রাজি না।’
এ দিকে বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাকে (১১) নিয়ে আদালতে এসেছেন মা নাকানো এরিকো। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমানের আদালতে নাকানো লায়লা লিনাকে মায়ের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি বংশোদ্ভূত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, নাবালক বা নাবালিকা হেফাজত নির্ণয়ে তাদের মঙ্গল হবে এ বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয় তাদের বাবা নাকি মায়ের কাছে নিশ্চিত হবে মামলাটি নিষ্পত্তিতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাপানি দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
বিচারক আরও বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর সর্বশেষ বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতেই শিশুরা শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তায় থাকবে বলে মনে করেন আদালত।
Leave a Reply