নিহতের মুফতি হাফেজ মাওলানা আমজাদ হোসেন (৪৫), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পলাশপুর এলাকার মাওলানা আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি পূবাইলের হায়দরবাইদ এলাকায় মোঃ শুক্কুর আলীর ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন এবং ঢাকার পল্টন এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ূন কবির।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে আমজাদ হোসেনর অসুস্থ স্ত্রী উম্মেহানি উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার ছেলে-মেয়েরাও ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না। রোববার রাতে আমজাদ হোসেন হায়দরবাইদ এলাকায় তার বাসায় একাই অবস্থান করছিলেন। সোমবার মোবাইল ফোনে কল করে আমজাদ হোসেনকে না পেয়ে বাসার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন সন্তানেরা। পরে বিকেলে ৪টার দিকে তার বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে দরজায় নক করলেও কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনের পাগড়িতে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটের ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে ১৫০লোক দেশের বাইরে পাঠানোর টাকা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা থেকে হতাশায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ
Leave a Reply