এছাড়া সরবরাহ সংকটের অজুহাতে ফের বাড়ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। ডজন প্রতি মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
শনিবার নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে ৩০, বাধাকপি ২৫, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকজি শালগম ৩০, নতুন পেঁয়াজ ৪০, নতুন আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা ও তিতা করলা ৬০ টাকা। লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা এবং বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউরি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ মেহেদি বলেন, গত এক সপ্তাহে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এর প্রভাবে দাম বাড়তি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো. দিদার বলেন, কয়েকদিন আগে দাম কম থাকলেও সবজির বাজারে এখন আর স্বস্তি নেই। ডিম, মাছ, মাংস, তেল, চিনি সবকিছুর দাম বাড়তি। এভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে মানুষ তো না খেয়ে মরবে।
বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম । ছবি প্রতিনিধি
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫০, সোনালী মুরগি ২৪০ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। অপরদিকে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৪৫ টাকায়।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো চড়া দামে সব ধরনের মাছের বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ ২৪০, কাতলা মাছ ২৭০, কার্প জাতীয় মাছ ২২০ থেকে ২৫০, তেলাপিয়া ২০০, কই ২২০, মৃগেল ২০০, চিংড়ি মাছ ৫৬০, পোয়া মাছ ৪শ, রুপচাদা মাছ ৬শ, প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার, কোরাল ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া মাংসের বাজারে গরুর মাংস ৮শ ও খাসির মাংস ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply