মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে রোনালদোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় সৌদি আরবের ক্লাবটি। এরপরই সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো ঘোষণা করলেন, ইউরোপে আমার অভিযান শেষ। সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ক্লাবেই খেলেছি। এখানে ভালো লাগছে। সৌদি আরবের মানুষ চমৎকার।
আল নাসের ক্লাবের কোনো কিছুই আর আগের মতো থাকবে না তা বোঝা গিয়েছিলো পর্তুগিজ তারকাকে দলে নেয়ার পর ক্লাবটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসারীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ার মধ্য দিয়েই। তাকে বরণ করে নেয়ার সময় তা বোঝা গেলো আরও ভালোভাবে।
ক্লাবটির মাঠ রসুল পার্কে এদিন ২৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ভক্তরা তাল মিলিয়ে ‘রোনালদো, রোনালদো’ ধ্বনি তুলে বরণ করে নিয়েছে এই জীবন্ত কিংবদন্তীকে। অন্যদিকে বাজারে আসার মাত্র দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় রোনালদোর ২০ লাখ নতুন জার্সি।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে নয়টি সফল মৌসুমে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি লা লিগাসহ জিতেছেন অনেক শিরোপা।
এরপর ইউভেন্তুসের হয়ে তিন বছরের অধ্যায়ে জিতেছেন দুটি সেরি আ, একটি ইতালিয়ান কাপ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে দুই মেয়াদে জিতেছেন তিনটি প্রিমিয়ার লিগ, দুটি লিগ কাপ ও একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা।
সৌদির ক্লাবে যোগ দেয়া নিয়ে রোনালদো বলেন, ইউরোপে অনেক সুযোগ পেয়েছি। ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং পর্তুগাল থেকেও ডাক পেয়েছি। তবে আমার জন্য এটি এক বড় সুযোগ। নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্লাবকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে যাচ্ছি। এ সিদ্ধান্তটি নিতে পেরে আমি খুব গর্বিত। পরিবার সবসময় আমার পাশে ছিলো। আর লোকে কে কি বললো তা নিয়ে আমি কখনো ভাবিনি।
রোনালদো আরও বলেন, আমি অনন্য খেলোয়াড়। আমি ওখানে (ইউরোপ) সব রেকর্ড ভেঙেছি। এখানেও কিছু রেকর্ড ভাঙতে চাই। কোচ চাইলে (ক্লাবের) আমি পরের ম্যাচেই মাঠে নামতে প্রস্তুত।
Leave a Reply