পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম অভিষেক অবস্থি। অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর স্ত্রী বন্দনাকে (২৮) খুন করেন তিনি। বন্দনাও পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৪ সালে অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে সীতাপুর রোডে গৌরী চিকিৎসালয় নামে একটি হাসপাতালও খুলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আশান্তি শুরু হয়ে যায়। ঝামেলা তীব্র হলে বন্দনা অন্য একটি হাসপাতালে চাকরি নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসক এবং তার বাবা গৌরীশঙ্কর অবস্থি ভারী কোনো বস্তু দিয়ে বন্দনার মাথায় আঘাত করেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। এরপর দেহ লোপাট করতে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গড়মুক্তেশ্বরে বন্দনার দেহ পুঁতে দিয়ে আসেন অভিষেক।
লখিমপুর খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিংহ জানান, স্ত্রীর মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে প্রথমে নিজের ক্লিনিকে যান অভিষেক। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে গড়মুক্তেশ্বরে চলে যান। অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলেন, দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে বন্দনার।
ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার পরদিন থানায় আসেন অভিষেক। স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস নিয়ে স্ত্রী পালিয়েছেন। যদিও অভিষেক-বন্দনার দাম্পত্য সম্পর্কের খোঁজ নেওয়ার পরে উলটো চিকিৎসকের উপরে সন্দেহ পড়ে পুলিশের।
সেই মতো তার উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এরপর রুটিন পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসক অভিষেক অবস্থি। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী ৪০০ কিলোমিটার দূরের গড়মুক্তেশ্বরে মাটির নিচ থেকে বন্দনার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চিকিৎসককে।
Leave a Reply