মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে জরুরিভিত্তিতে এ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
বৃহস্পতিবার মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, দক্ষ এবং সক্রিয় সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কমিটির দুইজন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে, তবে এক্ষেত্রে জেন্ডার ও মানবাধিকার বিষয়ে যারা কাজ করে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে। অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৩০ কর্মদিবস থেকে ৬০ কর্মদিবস বাড়াতে পারবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল অফিস ও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠন করা হয়নি। তাই আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটি গঠন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, কমিটি গঠনের তদারকির বিষয়টি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন। এছাড়াও আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপপরিচালক (মাধ্যমিক) তাদের আওতাধীন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে এখনও এ কমিটি গঠন করেননি তাদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাবেন।
Leave a Reply