যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানকে নিয়ে জি৭ গোষ্ঠী গঠিত। শুক্রবার এসব দেশের অর্থমন্ত্রীরা এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন। তারা রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ দাম ঠিক করতে একমত পোষণ করেন। এরআগে এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক করলেও দাম নির্ধারণে সম্মত হতে পারছিলো না জোট গুলো।
নতুন দাম নিধারনের ফলে জোটগুলোর বাইরের দেশগুলোতে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি অনুমোদন করবে জি৭ ও ইইউ। তবে বেঁধে দেয়া মূল্যের বেশিতে তেল কেনা না হলে তা পরিবহনের অনুমতি পারবে না শিপিং কোম্পানিগুলো এবং যেসব জাহাজ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন করবে, তাদের ক্ষেত্রে বিমা প্রযোজ্য হবে না। কারণ গুরুত্বপূর্ণ শিপিং ও ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো পশ্চিমা ভিত্তিক।
একটি যৌথ বিবৃতিতে, দেশগুলো বলেছে, সমুদ্রপথে রপ্তানি করা রাশিয়ান অশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি মূল্যসীমা ৬০ ডলার করা হয়েছে এবং ৫ ডিসেম্বর থেকেই এটি কার্যকর হবে। তবে ৫ ডিসেম্বরের আগে লোড করা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজগুলো চূড়ান্ত গন্তব্যে গিয়ে মাল খালাস করার জন্য ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত ৪৫ দিনের ছাড় পাবে।
জি সেভেন ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা বলেছেন, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্যের সর্বোচ্চ দাম বেধে দেয়ার ফলে একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে আসবে অন্যদিকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাবে। এতে করে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করার মতো অর্থ সংকটে পড়বে মস্কো।
এদিকে পোল্যান্ড এই প্রস্তাবিত মূল্যের বিরোধিতা করেছিল। তাদের দাবি,ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য রাশিয়ার আর্থিক উৎস সীমিত করে দেয়ার লক্ষ্যে বেঁধে দেয়া মূল্য যতটা সম্ভব কম রাখা উচিৎ।
অন্যদিকে ইউক্রেন অনেক আগে থেকেই রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলারে বেঁধে দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরুর পর পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে দেশটির তেল বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। তবে উচ্চমূল্যের কারণে মস্কোর বৈদেশিক আয় ঠিক আগেরমতই থাকে। আর এ কারনেই রাশিয়ার আয়ে লাগাম টানতে এই পদক্ষেপ নিল জি৭।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি
Leave a Reply