1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর পরিবারের উদ্যোগে প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মানবিক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের উদ্যোগ, সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার বিতরণ হিজলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর মৎস্য অধিদপ্তরের অতর্কিত হামলা সুলভ মুল্যে ইফতার বুকিং নিচ্ছে ‘লবস্টার রেস্ট্রুরেন্ট ও কনভেনশন হল’  সুলভ মুল্যে মানসম্পন্ন ইফতার বিক্রি করছে ‘খাবার বাড়ি সুইটস এন্ড রেস্ট্রুরেন্ট’ বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যাল্যায়েন্স (বিএমটিএ) পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ বরিশালে পুর্ব শত্রুতার জেরে ৪ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ, শেবাচিমে ভর্তি বসিক উপ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মো: রাশিক হাওলাদার চরকাউয়া খেয়াঘাটে অপ্রতিরোধ্য জুয়ার আসর !

এক যুগেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুনের

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৭ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
বিশেষ প্রতিবেদক // ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার দীর্ঘ এক যুগ অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু আজও সন্ধান মেলেনি বরিশালের উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির খানের। এখনও পর্যন্ত তার পরিবার ও স্বজনরা জানেননা তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কি জুটেছে। সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান জীবিত আছেন, নাকি অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর হত্যা করে তার লাশ গুম করেছে তা আজও জানেন না তার পরিবারের সদস্যরা। হুমায়ুনের পরিবারের অপেক্ষা হয়তো একদিন পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন তিনি! 

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান অপহরনের ১২ বছর অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে এখনও পর্যন্ত কোন তথ্য দিতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উল্টো অপহরনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রভাবশালী আসামিদের হামলা আর হয়রানির শিকার হয়ে আসছে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা। তাই তারা নিখোঁজ আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির খানের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী অজ্ঞাত কিছু লোক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খানকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার কোন সন্ধান মেলেনি। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগের পর তারা হুমায়ুন কবির খানকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে নিখোঁজ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মো. মঞ্জু খান বাদী হয়ে ওইদিন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের রামপুরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (যাহার নং ৯৯৪) করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান অপহরনের মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ঢাকার বাউরা নুরেরচাঁন এলাকায় তার (হুমায়ুন) মালিকানাধীন প্রায় একশ’ কোটি টাকা মূল্যের ৭৫ শতক জমি দখল করে নেয় মালিবাগ ৯৬/১ চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক সালমা বেগম। প্রথমে হুমায়ুনের পরিবারের দাবি ছিলো, গুমের পেছনে সালমা বেগম ও তার বান্ধবী কবরী দায়ী থাকতে পারে। যার কারণে মঞ্জু খান বাদি হয়ে ওই বছরেই সালমা বেগম, আবদুস সামাদ, মিন্টু, জুলহাস, জুলমাত, সাব্বিরসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে হুমায়ূন খান নিখোঁজ হবার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও হঠাৎ একদিন ফোনটি খোলা পায় মঞ্জু খান। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে বিপুল দাস নামের একজনকে হুমায়ুনের মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঞ্জু খান। এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর একই থানায় নিখোঁজ ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন খানের ছোট ভাই মঞ্জু খান বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন (যাহার নং ২৪/৫৩১)। ওই মামলায় উজিরপুরের ওটরা ইউনিয়ন ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালকে প্রধান আসামি করা হয়। চাঞ্চল্যকর ওই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) পুলিশ তদন্ত করে সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

অপহৃত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খানের সহদর ও মামলার বাদি মো. মঞ্জু খান অভিযোগ করে জানান, ভাই অপহরনের তৎকালীন সময়ে নিজ উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল নিজের অবস্থান পাঁকাপোক্ত করতে তার ভাইকে অপহরনের পর হত্যা করে লাশ গুম করেছে। তিনি এমন অভিযোগ তুলে সাবেক ওই ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তাকে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। এমনকি অস্ত্রবাজ ওই সাবেক চেয়ারম্যান গত বছর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে ২৮ মার্চ রাতে নিজের লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে তার ওপরে গুলি পর্যন্ত চালিয়েছিলো। তবে সে সময় এলাকার স্থানীয় নৌকার সমর্থকরা ও এলাকাবাসী মিলে ধাওয়া দিলে অস্ত্রধারী ইকবালসহ তার বাহিনী পালিয়ে রক্ষা পায়।

আওয়ামী লীগ নেতা মো. মঞ্জু খান আবেগ আপ্লুত কন্ঠে দৈনিক জনকণ্ঠ’র এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন, ‘আমার ভাই কী বেঁচে আছেন, নাকি তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। ভাই কী আর কোনদিন ফিরবে না। দীর্ঘ ১২ বছরেও তার কোন তথ্য দিতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ভাইকে তুলে নেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেও কোন সুফল পাইনি। উল্টো মামলার আসামিরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। সে ঘটনারও কোন বিচার পাইনি। তাই ভাইয়ের সন্ধানের আশায় আমরা অসহায় পরিবার মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ