শহরটির স্থানীয় সরকার আরও বলেছে, ৩১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং ৩৭৭ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকা বহু মানুষ। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছেন, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭ হাজার এ পৌঁছেছে।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার রিক্টার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির আঘাতের কেন্দ্র ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চিয়ানজুর। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চিয়ানজুরের ১০ কিমি ভূগর্ভে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্গত গ্রামগুলো থেকে আহত-নিহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে আসছে,যা ক্রমাগত বাড়ছে।
চিয়ানজুরের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারমান সুহারমান সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক জায়গা থেকে নতুন নতুন শবদেহ এবং আহত মানুষজন নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূকম্পটি মূলত যে অঞ্চলে আঘাত করেছে সেখানে জনবসতি বেশ ঘন এবং এলাকাগুলো ভূমিধ্বস-প্রবণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং একটি আবাসিক মাদ্রাসাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই একটি ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ। ২০১৮ সালেও ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে সুলায়েসি দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।
Leave a Reply