শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মাকে আটক করে পুলিশ।
পরে একইদিন রাতে মৃতের বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ লিপি বেগমকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে রেদোয়ানদের বাসা থেকে চিৎকার ও ধোঁয়া দেখে স্থানীয়রা যেয়ে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তার বাবা আনোয়ারকে খবর দেয়া হয়। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে সাতদিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা যায় সে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছেলে যদি নিজে থেকে তার শরীরে আগুন দেয় তবে তার হাত-পা বাঁধা থাকার কথা না। আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে হত্যায় অভিযুক্ত লিপি বেগমের স্বজনদের দাবি, লিপি ও তার স্বামী আনোয়ারের বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিলো না। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। লিপি তার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে আলাদা ভাড়া বাসায় থাকতেন। রেদোয়ানকে কাজ না করার জন্য বকাঝকা করায় সে নিজেই তার শরীরে আগুন দিয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেদোয়ান তার জীবদ্দশায় চিকিৎসকের কাছে আত্মহত্যার চেষ্টার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, নিহতের বাবা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এই মর্মে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ছেলের মাকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার মায়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার যোগসাজশ পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply