তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তুর্কি সামরিক বিমানগুলো উত্তর সিরিয়া এবং ইরাকের পিকেকে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার একটি সামরিক বিমান উড্ডয়নের ছবি সহ টুইট করেছে, ‘হিসেব করার সময় এসেছে’। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যারা বিশ্বাসঘাতক হামলা করেছে তাদের জবাবদিহি করা হবে।
এদিকে, এই হামলার বিষয়ে সিরিয়া বা ইরাকের সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আঙ্কারা ১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে বোমা হামলার জন্য নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং সহযোগী সিরিয়ান কুর্দি গোষ্ঠীগুলিকে দায়ী করেছে ৷ যদিও কুর্দি যোদ্ধারা জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই পিকেকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করে, তবে সিরিয়ায় আইএসআইএল (আইএসআইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের সাথে জোটবদ্ধ সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার বলেছিল, তারা তুরস্কের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে, তাদের নাগরিকদের উত্তর সিরিয়া ও ইরাকে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
যদিও আঙ্কারা রাতারাতি অভিযানের সঠিক বিবরণ দেয়নি, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বলেছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কোবানে (আইন আল-আরব) বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। সংখ্যা উল্লেখ না করে বিমান হামলার ফলে মৃত্যু ও আহত হয়েছে বলে দাবি করে এসডিএফ।
উল্লেখ্য, তুর্কি সীমান্তের কাছে একটি কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর কোবানে। যেটি ২০১৪ সালের শেষের দিকে আইএসআইএল (আইএসআইএস) দখল করেছিল এবং ২০১৫ সালের শুরুতে কুর্দি যোদ্ধারা তাদের তাড়িয়ে দিয়ে কোবানে দখলে নেয়।
সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি
Leave a Reply