গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র (চনপাড়া বস্তি) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, মোবাইল, ২৫ হাজার ভারতীয় জাল রুপি, মাদক বিক্রির টাকাসহ নগদ ৯৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) নোমান আহমদ।
তিনি জানান, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রকৃতপক্ষে চনপাড়া বস্তি নামে অধিক পরিচিত। এই এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অপেক্ষাকৃত নিম্নআয়ের মানুষ বসবাস করে যার অধিকাংশই দিন মজুর। বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তিটি ৯টি এলাকায় বিভক্ত।
বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বার (৫২) একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম মূলহোতা ও নিয়ন্ত্রক। নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বেশ কয়েকজন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। গ্রেপ্তার বজলুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলতো।
তিনি আরও জানান, এই এলাকার শীর্ষ ৫ থেকে ৬টি মাদক কারবারীর প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলেন বজলুর রহমান। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় ২০০টি স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
বজলুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে নোমান আহমদ জানান, বজলু কায়েতপাড়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার। সে স্থানীয়দের কাছে বজলু ভাই নামে পরিচিত। বিভিন্ন সোর্স তার ছত্রছায়ায় থেকে হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা করে আসত। কেউ চাঁদা না দিলে তার কপালে নেমে আসত নির্যাতনের ভয়াবহতা। এসব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত এক-দেড় বছরে নিহত হয়েছেন ছয়জন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধীদের গ্রেপ্তারে র্যাব সদস্যরা চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে বজলুর নির্দেশে তার সহযোগীরা আক্রমণ করে। বজলু এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply