স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে সহকর্মী ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে খুদে বার্তা প্রেরণ করেই নিরুদ্দেশ হন তিনি। এখনও পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মেলেনি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, গত ৮ নভেম্বর বেলা ২টা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এরপর ৯ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডাক্তার মো. জাকির হোসেন আমাকে একটি ম্যাসেজ দেন, তার শাশুড়ি খুবই অসুস্থ তাকে জরুরি বাড়ি (মানিকগঞ্জে) যেতে হচ্ছে। এরপর আমি ঘুম থেকে উঠে তাকে মোবাইল করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। একই ম্যাসেজ তিনি তার সহকর্মী ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদকেও (সেতু) দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ নভেম্বর রাতে তার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান, তার স্বামী ডা. জাকির হোসেনকে ২ দিন ধরে মোবাইলে পাচ্ছেন না। তখনই আমি চিন্তায় পড়ে যাই এবং বিস্তারিত বিষয় নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। তার স্ত্রীকেও ডা. জাকির হোসেন ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়েছিল, যে তার মোবাইল বন্ধ থাকবে এবং মোবাইলে চার্জ হচ্ছে না। তারপর রাতেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার রাতে আমি ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ডা. জাকির হোসেনের বিষয়ে ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা তার মোবাইল ট্যাগ করে সন্ধান করার চেষ্টা করছি। শুক্রবার দুপুরে ডা. জাকির হোসেনের ভাঙ্গা সরকারি বাসভবনে তল্লাশি করা হয়েছে। তবে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ব্যাগটিও বাসায় রয়েছে। তার সন্ধান পেতে কাজ করছে পুলিশ।
Leave a Reply