হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীরে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে এমনটা দেখা গেছে। রক্ত পরীক্ষায় জানা গেল, এর আগেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
রাজধানীর ডিএনসিসি হাসপাতালে মুক্তা আক্তার নামের এক রোগী ভর্তি হন তিনদিন আগে। শরীরে ব্যথা ও তীব্র জ্বর নিয়ে ভর্তি হন তিনি। রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, আগেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
এবছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ১১০ রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ রোগী দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্তসহ অর্ধেকই ডেন থ্রি এবং বাকি অর্ধেক ডেঙ্গুর একাধিক ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিএসএমএমইউ-এর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, আগেরবার যে ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন এবার যদি ভিন্ন ধরনে আক্রান্ত হন উনার সিবিআর ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য আমরাও এসব রোগীর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করি। যারা আইজি-এম, আইজি-জি দুটোই পজিটিভ থাকে, তাদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদ্প্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, রোগীর ব্লাড পেসারের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত। কারণ ব্লাড পেসার ঠিক থাকলে অন্য কারণগুলো খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মহামারি আকার নেয় ডেঙ্গু। আক্রান্ত হয় এক লাখের বেশি। মারা যায় ১৭৯ জন। তবে, এবার রোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার হওয়ার আগেই ছাড়িয়ে গেছে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। ২০১৯ এর তুলনায় এ বছর মৃত্যুহার দ্বিগুণ।
Leave a Reply