1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
বরিশাল ডিসি ঘাট দখলে মরিয়া চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবো- চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব রামুতে ভূমিদস্য সিরাজের অপকর্ম মামলা হওয়ার পরেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে শেখর পরিবারের উদ্যোগে প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মানবিক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের উদ্যোগ, সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার বিতরণ হিজলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর মৎস্য অধিদপ্তরের অতর্কিত হামলা সুলভ মুল্যে ইফতার বুকিং নিচ্ছে ‘লবস্টার রেস্ট্রুরেন্ট ও কনভেনশন হল’  সুলভ মুল্যে মানসম্পন্ন ইফতার বিক্রি করছে ‘খাবার বাড়ি সুইটস এন্ড রেস্ট্রুরেন্ট’ বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যাল্যায়েন্স (বিএমটিএ) পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

বরিশাল বিভাগে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৬ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও সে অনুযায়ী চিকিৎসাসুবিধা বাড়ছে না।

বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড চালু করা যায়নি।

একই সঙ্গে বিভাগের কোনো হাসপাতালে প্লাটিলেট সেল সেপারেটর যন্ত্র না থাকায় এসব রোগীকে ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে দক্ষিণাঞ্চলের আটটি সরকারি হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীরা।

বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন মো. সগির হোসেন জানান, তাঁর ছোট ভাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ১ নভেম্বর বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

তাঁর ভাইয়ের প্লাটিলেট প্রথমে আড়াই লাখ ছিল। এরপর তা কমে ২৯ হাজারে পৌঁছায়। পরে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর ভাইকে বরিশালে আনার প্রস্তুতি নেন।

কিন্তু বরিশালে প্লাটিলেট সেল সেপারেটর মেশিন না থাকায় তিনি আর ঝুঁকি নিতে চাননি। সরাসরি ঢাকায় নিয়ে যান। সগির হোসেন বলেন, বরিশালে এই সুবিধা থাকলেও ভোগান্তি ও ব্যয় কমত। এখন দ্বিগুণের বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ ছিল দেশব্যাপী। মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠেছিল।

কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ এখনো নেই। বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবছেও না। ফলে মানুষের মধ্যে এ নিয়ে একধরনের উদাসীনতা আছে। আর এতে নীরবে এই রোগটি বিস্তার ঘটছে এবং আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে এই বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। এরপর তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনে (১-৮ নভেম্বর) বিভাগে ৫৩০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ সময়ে মারা গেছেন ১ জন। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৪২। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর দেড় মাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৭৪৩ জন।

বিভাগে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৫ জনেরই মৃত্যু হয়েয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। এ ছাড়া অক্টোবরে ১ জন এবং সর্বশেষ ৭ নভেম্বর একজন মারা গেছেন।
বিভাগে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ১৭২ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পিরোজপুরের। এরপরে আছে বরগুনা জেলা। মৃত্যুও এই দুই জেলায় বেশি।

পিরোজপুরে হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৮৩ জন। আর বরগুনায় ৩১৫ জন। আর বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮২৮ জন।

এসব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার। এর বাইরে পটুয়াখালী জেলায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০৭ জন, ঝালকাঠিতে ৭২ জন, ভোলায় ১৪৮ জন এবং বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৯১ জন রোগী।

মারা যাওয়া ৭ জনের তিনই পিরোজপুরের, দুজন বরগুনার এবং বরিশাল ও ঝালকাঠির একজন করে আছেন। এই ৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

হাসপাতালটির পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার দুপুরে বলেন, ‘হাসপাতালের পাঁচতলা করোনা ইউনিটের চতুর্থ তলায় ডেঙ্গুর রোগীদের জন্য নতুন ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ওই ওয়ার্ডটি প্রস্তুতের কাজ করছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু কাজের গতি খুবই মন্থর।

আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি। সর্বশেষ বিভাগের কর্মকর্তারা ২০ নভেম্বর এই ওয়ার্ডটি হস্তান্তরের জন্য সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা একটি প্লাটিলেট সেল সেপারেটর মেশিন চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলাম।

মঙ্গলবার আমাকে ফোন করে এই মেশিন দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেই এই মেশিন আসবে।’

জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যাতে রোগীদের ডেঙ্গু শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি বুধবার দুপুরে বলেন, পর্যাপ্ত মশারি ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে সরকারি সব দপ্তরের প্রধানের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ