ঘটনাটি বাংলাদেশ ইনিংসের সপ্তম ওভারে। লিটন দাস অক্ষর প্যাটেলের বলে অফ-সাইডে শট নেন। অন্য প্রান্তে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যেখানে বাউন্ডারি লাইন থেকে বল ধরে উইকেটরক্ষক প্রান্তে থ্রো করেন অর্শদীপ সিং। তবে বল যখন পয়েন্টে ফিল্ডিং করা বিরাট কোহলির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কোহলি বল ধরে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থ্রো করার অভিনয় করেন।
ক্রিকেটের আইনে এমন অভিনয় করাকে ‘ফেক ফিল্ডিং’ বলে। যা ২০১৭ সাল থেকে ‘আনফেয়ার প্লে’ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ কোনো ফিল্ডিং দল এমনটি করলে শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলকে ৫ রান দেওয়া হবে ও বলটি ‘ডেড’ হিসেবে ধরা হবে।
গতকাল ম্যাচ শেষে ভারতের কাছে ম্যাচ হেরে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ তোলে বাংলাদেশ শিবির। টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসানের অভিযোগ যথার্থ হলে অ্যাডিলেডে ম্যাচ জিতে যাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।
কোহলি বল ছোঁড়ার অভিনয় করলেও ফিল্ড আম্পায়াররা কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি বাংলাদেশের তারকার। তবে এমন অভিযোগ আম্পায়ারদের কাছে করলেও তারা জানান, এমন কোনো কিছু তাদের নজরে আসেনি।
আইসিসির নিয়মে যদিও প্রকৃতই এমন ঘটনাকে ‘আনফেয়ার প্লে’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যাটারকেকে বিভ্রান্ত করার জন্য কোনো ফিল্ডার বল হাতে না থাকা সত্ত্বেও বল ছোঁড়ার নাটক করলে সেই ডেলিভারিটিকে ডেড-বল হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন আম্পায়াররা। শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলকে ৫ রান উপহার দেওয়ারও নিদান রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার নিয়মে।
ম্যাচ শেষে নুরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সবাই দেখেছি যে, মাঠ ভেজা ছিল ও তার প্রভাব পড়েছে ম্যাচে। তাছাড়া ম্যাচে ফেক থ্রোয়েরও একটা ঘটনা ছিল, যাতে আমাদের পেনাল্টির ৫ রান পাওয়া উচিত ছিল। যদিও শেষমেশ তেমন কিছু ঘটেনি।’
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের কাছে ৫ রানেই পরাজিত হয়। সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশ ৫ রান পেলে ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো টাইগাররা।
Leave a Reply