কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া এবং ইঞ্জিনের ত্রুটিজনিত কারণে ফিশিং ট্রলার ‘এফভি জেসমিন’ ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ফিশিং ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
এ সময় বাংলাদেশী ২৩ জন জেলে মৎস্য আহরণে ব্যবহৃত ড্রাম ও ভাসমান বস্তু আকড়ে ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকে। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি বিমান টহল প্রদানকালে উক্ত জেলেদের অবস্থান দেখতে পায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে একটি লাইফ রেফ্ট প্রদান করে, যা তাদেরকে ভেসে থাকতে সহায়তা করে। এরপর ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস বিজয়ার মাধ্যমে ২৫ অক্টোবর জেলেদেরকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড বৃহস্পতিবার উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে ২৩ জন জেলেকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূন্যরেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলার কাছে হস্তান্তর করে। সেইসঙ্গে জেলেদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। পরে কোস্ট গার্ডের একটি হাই স্পিড বোটে করে স্থানান্তর করার পর জেলেদেরকে আকরাম পয়েন্ট হতে কোস্ট গার্ড বার্থ মংলায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ২৩ জন জেলেকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রলার মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply