আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আব্দুর রকিব এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন আব্দুল আহাদ বাবু ও তৌফিক ইমাম খান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আটঘরিয়ার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ (২৯), তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বার (৩৩), মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ (৪০) এবং আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ (৩২)।
রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বার ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামি জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ নিহত গৃহবধূকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজির বাজারে যান তার ছেলে। এরপর রাতে ফিরে দেখেন মা নেই। তখন তিনি মনে করেন তার মা হয়তো নানির বাড়ি গেছেন। রাতের মধ্যে বাড়িতে ফিরবে ভেবে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, মা বাড়িতে ফেরেননি। তখন মামা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান।
এরপর আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। ঘটনার তিন দিন পর প্রতিবেশীর হলুদের ক্ষেতে লিচু গাছের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে। মামলার এজাহারে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ রয়েছে।
ঘটনার চার দিন পর নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক বাদী হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধর্ষণের পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও এই রায় দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply