পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় যুবসংহতির নেতা খাইরুল মোল্লাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে । উপজেলার মেদিরাবাদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে। খাইরুল জাতিয় পার্টির( জেপি) ১ নং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক।
এঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ভান্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার মা মোসাঃ পিয়ারা বেগম। গত ০৯/০৯/২২ তারিখে তিনি ছেলের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরীটি করেন। যার নং- ৪০২।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত ০৪/০৯/২২ তারিখে বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার জন্য তার সারথীদের নিয়ে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ইউনুচ বয়াতির দুই ছেলে মোঃ হাসিব বয়াতি ও জাহিদ বয়াতি, ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের বাবুলের ছেলে মাসুম, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাকে আলী কাজীর ছেলে মোঃ সাবিক কাজী মিলে আমার ছেলেকে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা আমার ছেলে মারধরে উদ্যত হয়। এসময় আমার ছেলে খাইরুল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা আমার ছেলের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে গত ০৫/০৯/২০২২ তারিখে সকাল সাড়ে ১০ টায় অভিযুক্তরা আমাদের বাড়ির সামনে এসে পুর্বের ঘটনার জের ধরে আমার ছেলেকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে ধাওয়া করে। এসময় আমার ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা আমার ছেলেসহ পরিবারের কাউকে পেলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এঘটনায় আমরা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করি। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি । অতিদ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে ভুক্তভুগী জাতিয় পার্টির( জেপি) ১ নং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল মোল্লা জানান, অভিযুক্তরা খুবই বেপরোয়া। বিভিন্ন সময় স্কুল কলেজের মেয়েদের বিরক্ত, চাঁদাবাজি, প্রাণ নাশের হুমকি সহ নানা অসাধু কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত হাসিব বয়াতিও ভান্ডারিয়া উপজেলার কোন বাসিন্দা নয়। সে তার বাহীনি মিলে এই উপজেলায় প্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে চলেছে। এছাড়া এই বাহিনীর বিরুদ্বে কাউখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার জি আর , মামলা নং-০৩/৫৭, ৫৬/২০২০, ৪৮/২০১৬ , ১৬/১৫, ও ভান্ডারিয়া থানায় জি আর মামলা নং ১০১। এরা অধিকাংশই বিএনপি ঘড়ানার। অতিদ্রুত চিহ্নিত এই আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান যুবসংহতির এই নেতা।
এদিকে মোঃ হাসান খান জিকু নামের ফেইসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও ও হাসিব বয়াতির ছবি পোষ্ট করে ‘বাপে গরু চোর ও ছেলে কিশোর গ্যাং’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। পোষ্ট করা ভিডিওতে একটি হিন্দু সম্প্রদায় অভিযুক্ত হাসিব বয়াতি ও তার বাহিনীর বিরুদ্বে হুমকি প্রদানের অভিযোগসহ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে দাবী করা হয়।
পোস্টটির একাধিক কমেন্টেও অভিযুক্ত এই বাহীনির বিরুদ্বে নিন্দা ও আইনের আওতায় নেয়ার জন্য পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
Leave a Reply