এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও আজ সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে নিউমার্কেটের কোন দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এবিষয়ে রমনা ট্রাফিক বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হারুন অর রশিদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রতিদিনের মতোই নিউমার্কেট এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক। সকাল থেকেই এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল করছে। তবে এই এলাকার দোকান পাট এখনো বন্ধ আছে।

শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ব্যবসায়ী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠকের পরও সকাল দশটার পর নিউমার্কেট খুললে হামলা করার হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকানপাট না খোলার জন্য জানান।

সকালে বৃষ্টির পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের রাস্তায় অবস্থান করতে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই এ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ঘুরতে এসে নিউমার্কেটের হকার্স ব্যবসায়ী ওহিদ আলী বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষ আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে দোকানপাট খোলা যাবে না। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝতে এসেছি। দোকান বন্ধ থাকলে লস তো আমাগোই হইবো।

আরেক দোকানি বলেন, নিউ মার্কেটের ভিতরে আমাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সকালে এসেছি সামনে ঈদ পরিবেশ বুঝতে, দেখতে দোকানপাট খোলার কোনো পরিবেশ হয়েছে কিনা৷

এদিকে ঢাকা কলেজের ভেতরের পরিবেশও থমথমে। শিক্ষার্থীরা কেউ সামনে নেই। শুধু প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে কিছু কর্মচারী অবস্থান করছেন। ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব হল বন্ধ ঘোষণা করে এবং ত্যাগের নির্দেশ দেয়। পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ঢাকা কলেজে ঈদের ছুটি শুরু। তবে অনেক শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিকের বেশি আহত হয়েছেন। দুজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নাহিদ নামের এক কুরিয়ার কর্মী। হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ বলেন, কাল বিকাল থেকে পরিবেশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার রাত ১২ টার দিকে নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজ তিন শিক্ষার্থীর কাপড় কিনতে গেলে দোকানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে ব্যবসায়ীরা। পরে ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় এসে ভাংচুর চালায়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।